প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympics 2024) জ্যাভলিন থ্রো নিয়ে ভারতীয়দের আশা তো বটেই প্রত্যাশাও বাড়িয়ে রাখলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। গ্রূপ বি-র যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে নীরজ চোপড়া প্রথমেই ৮৯.৩৪ মিটার থ্রো করেন। আর সেই থ্রোতেই তাঁর ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়ে যায়। এটাই তাঁর এই মরসুমের সেরা থ্রো। টোকিও অলিম্পিকে নীরজ ৮৭.৫৮ দূরত্বে থ্রো করেছিলেন, যার কারণে তিনি সোনা পান। অর্থাৎ টোকিও থেকেও দূরে জ্যাভলিন ছুড়েছেন প্যারিসে। তবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিম মারেন ৮৬.৫৯ মিটার।
ফলে ৮ আগস্ট রাতের ফাইনালে কড়া টক্করের সামনে পড়বেন নীরজ। তিন নম্বরে থেকে ফাইনালে ওঠেন পাক জ্যাভলিন থ্রোয়ার। দুই নম্বরে আলেকজ্যান্ডার পিটারস। ৮৮.৬৩ মিটার মারেন তিনি। গ্রেনাডার এই অ্যাথলিট নীরজ ও আর্শাদের সামনে। এই তিন তারকাই সরাসরি ফাইনালে পৌঁছ যান। তবে নীরজ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। অলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৮৪ মিটার জ্যাভেলিন থ্রো করতে পারলেই সরাসরি ফাইনালের টিকিট পাকা হয়ে যায়। নীরজকে প্রথম থেকেই দেখে আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল। রানআপে একাবারে ক্লিনিকাল ফিনিশ করেন ভারতীয় তারকা। নীরজের প্রথম থ্রোতেই জ্যাভেলিন ৮৯.৩৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। একইসঙ্গে ফাইনালের টিকিট পাকা করে নেন নীরজ।
আর্শাদ নাদিমের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় অনেকদিন ধরেই কিছুটা হলেও এগিয়েই থেকেছেন নীরজ। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে নীরজ এবং আর্শাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছিল, যেখানে প্রথম হন নীরজ, দ্বিতীয় স্থান ছিল আর্শাদের। তারপরে ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে, নীরজ চোপড়া ৭৮.২০ মিটার থ্রো করে গ্রুপের শীর্ষে ছিলেন এবং ফাইনালে ৮৬.৪৮ মিটার ছুড়ে সোনা জিতেছিলেন। তবে নাদিম ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হন।
তারপর থেকে আর্শাদ নাদিম ক্রমে ভারতের নীরজ চোপড়ার সঙ্গে ব্যবধান কমাতে শুরু করেন। যদিও নাদিম এখনও ভারতের তারকাকে সরাসরি প্রতিযোগিতায় হারাতে পারেনি, তবে তাঁর ব্যক্তিগত সেরা টপকে গিয়েছেন ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসে, নাদিম সেবার ৯০.১৮ মিটার থ্রোতে সোনা জিতেছেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডারসন পিটার্সকে ছাড়িয়ে গেছেন এবং ৯০ মিটার বাধা টপকে দ্বিতীয় এশিয়ান হয়েছেন। অম্যদিকে চোপড়ার ব্যক্তিগত সেরা ৮৯.৯৪ মিটার, ২০২২২ স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে ছোড়েন তিনি।