ব্রাইট এনবাখোরে। যেদিন থেকে তিনি লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন, সেদিন থেকেই দলের প্রত্যেকটা সমর্থকের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। আজ ব্রাইটের জন্মদিন। আসুন আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি, ব্রাইটের ফুটবল কেরিয়ারের এমন সাতটা অজানা তথ্য যা শুনলে আপনিও হবেন গর্বিত।
১৯৯৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ার বেনিন শহরের জন্মগ্রহণ করেন ব্রাইট। ছোটোবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি তাঁর যথেষ্ট ঝোঁক ছিল।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তিনি নাইজেরিয়া থেকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যাম শহরে চলে আসেন। সেখানে তিনি নর্থফিল্ড টাউন ক্লাবে জুনিয়র দলের সঙ্গে ফুটবল খেলতে শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১৪ সালে তিনি বার্মিংহ্যাম মাইনর কাপও জয় করেছেন।
২০১৫ সালে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে যোগ দেন। তার আগে অবশ্য বেশ কয়েকটা ক্লাবে তিনি ট্রায়াল দিয়েছিলেন। কিন্তু কোথাও চিড়ে ভেজাতে পারেননি। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে যোগ দিয়েই অভিষেক ম্যাচে তিনি সাফল্য পান। চাম্বলির বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচে তাঁর দল ৩-২ গোলে জয়লাভ করে। তবে সেই ম্যাচে তিনি গোল করতে পারেননি। ওই বছরের ২ অগস্ট ডনকাস্টার রোভার্সের বিরুদ্ধে তিনি জয়সূচক গোলটি পান। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স এই ম্যাচে ৪-৩ গোলে জয়লাভ করে।
এই দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত তিনি ৪১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তবে এই ব্রিটিশ ক্লাবের হয়ে একটি মাত্র গোল করেছেন তিনি।
ইতিমধ্যে তিনি আবার লোনে কোভেন্ট্রি সিটিতে গিয়েও খেলেছেন। সেখানে ১৮টি ম্যাচে তিনি ছ'টি গোল করেছেন। পাশাপাশি ২২ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে দুটো ম্যাচও খেলেছেন। এছাড়া তিনি স্কটিশ ক্লাব কিলমারনকে এবং উইগান অ্যাথলেটিকেও কিছু সময় খেলেছেন।
২০২০-২১ মরশুমে তিনি কলকাতার ফুটবল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি এসসি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে তিনি যোগদান করেন। মাস খানেক আগে এফসি'র গোয়ার বিরুদ্ধে একটি দুরন্ত গোল করে তিনি লাল-হলুদ সমর্থকের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন।
এখনও পর্যন্ত তিনি লাল-হলুদ জার্সি গায়ে দুটো গোল (উইকিপিডিয়া অনুসারে) করেছেন। আর বেশ কয়েকটা গোলে দলের সতীর্থদের সাহায্যও করেছেন তিনি। গোটা দেশে করোনা মহামারীর কারণে এবছরের আইএসএল গোয়ায় জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে খেলতে হচ্ছে। সেটা যদি না হত, কলকাতায় থাকলে আজ লাল-হলুদ সমর্থকেরা যে ব্রাইটের বাড়িতে জোড়া ইলিশ উপহার পাঠাতেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।