এবার থেকে ক্রিকেটারদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন পেসার চেতন শর্মা। আজ্ঞে হ্যাঁ, চেতন শর্মাকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের মুখ্য নির্বাচক ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল BCCI-এর ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি চেতন শর্মার কাঁধে এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন।
ক্রিকেটের ময়দানে চেতন শর্মা এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিঞাঁদাদের লড়াই এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ চলছিল। মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিল ভারত এবং পাকিস্তান। ম্যাচ জেতার জন্য শেষ বলে চার রান দরকার ছিল। বল ছিল চেতন শর্মার হাতে, উলটোদিকে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাভেদ মিঞাঁদাদ।
ক্রিকেটের ময়দানে চেতন শর্মা এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিঞাঁদাদের লড়াই এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ চলছিল। মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিল ভারত এবং পাকিস্তান। ম্যাচ জেতার জন্য শেষ বলে চার রান দরকার ছিল। বল ছিল চেতন শর্মার হাতে, উলটোদিকে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাভেদ মিঞাঁদাদ।
চেতন ইয়র্কার লেংথে শেষ বলটা ডেলিভারি করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেটা ফুলটস হয়ে যায়। মিঞাঁদাদও সুযোগ ছাড়েননি। তিনি ওই বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। এই প্রথমবার পাকিস্তান কোনও বড় টুর্নামেন্টে ভারতকে হারাতে পেরেছিল। এই ওভার বাউন্ডারি জাভেদ মিঞাঁদাদকে তো নায়ক বানিয়ে দিয়েছিল, অন্যদিকে বোলার চেতন শর্মা যথেষ্ট মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন।
জাভেদ মিঞাঁদাদ তাঁর বইয়ে লিখেছেন, "আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে এই বলটা বাউন্ডারির বাইরেই মারব। আমি ততক্ষণে শতরান করে ফেলেছিলাম। সেকারণে বল বুঝতে আমার একটুও সমস্যা হয়নি।"
মিঞাঁদাদ তাঁর বইয়ে আরও লিখেছেন, "ভারতীয়রা একথাই বলে যে চেতন শর্মা সেদিন ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, আমার মনে হয় ওই বলটা চেতনের হাত থেকে ফসকে গিয়েছিল। আমি ফুলটস বল পেয়েছিলাম। তাও আবার লেগ সাইডে কোমরের কাছে। চোখ বন্ধ করে আমি ব্যাট ঘুরিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরে আর কী! আমরা জিতে গিয়েছিলাম। পাকিস্তান জিতে গিয়েছিল।"
এর পাশাপাশি ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করেছেন। সেই দলে রয়েছেন আবে কুরুভিল্লা এবং দেবাশিষ মোহান্তি। ৪৪ বছর বয়সি ওড়িশার দেবাশিষ মোহান্তি ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে দুটো টেস্ট ম্যাচ এবং ৪৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপেও তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মোহান্তি টেস্ট ক্রিকেটে চারটি এবং একদিনের ক্রিকেটে ৫৭টি উইকেট শিকার করেছেন। ২০০১ সালে জানুয়ারি মাসে দিলীপ ট্রফির একটি ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন মোহান্তি। পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে দেবাশিষ মোহান্তি এমন পারফরম্যান্স করেছিলেন। অন্যদিকে ৫২ বছর বয়সি মুম্বইয়ের ফাস্ট বোলার আবে কুরুভিলা ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন। দেশের হয়ে তিনি ১০টি টেস্ট ম্যাচ এবং ২৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। দুটো ফরম্যাটেই তিনি ২৫টি করে উইকেট শিকার করেছেন।