ভারতে দ্বিতীয় দফার করানার টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে অবস্থিত এইমস হাসপাতালে এই করোনার টিকা নিয়েছেন। আর এবার ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই সদস্যও করোনার টিকা নিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলের কোচ।
আজ্ঞে হ্যাঁ, কথা হচ্ছে রবি শাস্ত্রী এবং সন্দীপ পাটিলকে নিয়ে। ভারতের এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার দেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপীর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। এবার করোনার টিকা নিয়ে গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করলেন। আমেদাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় নিলেন রবি শাস্ত্রী, অন্যদিকে সন্দীপ পাটিল মুম্বইয়ে টিকা নিলেন।
আপাতত ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে আমেদাবাদে রয়েছেন রবি শাস্ত্রী। এখানেই আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ভারত বনাম ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার ২ দিন আগেই হাসপাতালে পৌঁছে যান রবি শাস্ত্রী এবং টিকাকরণের ছবিও সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করেছেন। ৫৮ বছর বয়সি এই কোচ টুইট করে বললেন, "কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ়টা নিলাম। এই মহামারীর বিরুদ্ধে ভারতকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিকদের আন্তরিক ধন্যবাদ। অ্যাপোলো হাসপাতালের কান্তাবেন এবং তাঁর গোটা দলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
অপরদিকে ভারতের প্রাক্তন ধামাকাদার ব্যাটসম্যান সন্দীপ পাটিলও মুম্বইয়ে করোনার টিকা নেন। ৬৪ বছর বয়সি এই প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমান ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সের কোভিড জাম্বো সেন্টারে ভ্যাকসিন নেন। ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সন্দীপ পাটিল অপারজিত ৫১ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। সেকারণেই ভারত ফাইনাল ম্যাচ খেলতে পেরেছিল।
জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে দীর্ঘ সময় ধরে সন্দীপ পাটিল জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির নির্দেশক হিসেবে কাজ করেন। একটা সময় তিনি জাতীয় নির্বাচকও পদেও কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে কেনিয়াকে তিনি কোচিং করিয়েছিলেন। সেবার কেনিয়া সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল।