মোহনবাগানের (Mohun Bagan) জয়ে দারুণ খুশি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থক অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য (Saheb Bhattacharya)। বাংলায় আইএসএল (ISL) ট্রফি আসায় দারুণ খুশি সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) শ্যালক। কাজের চাপে ম্যাচ দেখার সময় হয়নি। তবুও খবর রেখেছেন প্রতি মুহূর্তে। ম্যাচের আগে জামাইবাবুর বেঙ্গালুরু এফসিকে (Bengaluru FC) সমর্থনের কথা বললেও মোহনবাগান জেতায় খুশি তিনি।
মোহনবাগানকে খোঁচা সাহেবের
যদিও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তিনি। bangla.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'দ্বিতীয় পেনাল্টিটা কি ছিল? আমার মনে হয়েছে বক্সের বাইরে কিয়ানকে ফাউল করা হয়েছে।' যদিও বাংলার দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বেশ খুশি সাহেব। তিনি বলেন, 'বাংলার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটাই বড় কথা। মোহনবাগান একটা বড় নাম।' শুধু তো চ্যাম্পিয়ন হওয়া নয়, সরেছে এটিকে নামও। ফুটবল ফ্যান হিসেবে এই সিদ্ধান্তেও দারুণ খুশি সাহেব। তিনি বলেন, 'মোহনবাগান বড় ব্যাপার। এই নামটার আলাদা মাহত্ব রয়েছে। এতদিনের ঐতিহ্য, এত ট্রফি জয় সেখানে নাম নিয়ে কী আসে যায়? তবুও অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। ফলে এটা দারুণ সিদ্ধান্ত সঞ্জীব গোয়েঙ্কার।'
'বাবা আগেই বলেছিল মোহনবাগান জিতবে'
মোহনবাগানের সমর্থক হলেও, মেয়ের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর গ্যালারিতেই বসে ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্যের স্ত্রী লতা ভট্টাচার্য। সাহেব তাঁর বাড়ির পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'মোহনবাগান জিতবে তা আগেই বলে দিয়েছিলেন বাবা। মা তো মাঠে ছিল, সোনমের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর স্ট্যান্ডে বসে ম্যাচ দেখেছেন। আমি বাড়ি ছিলাম না।'
বেঙ্গালুরু এফসি-কে সমর্থন করলেও দল জিততে পারল না। কেন হারতে হল সুনীল ছেত্রীদের? সাহেব বলেন, 'কোনও ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে কিছুই করার থাকে না। যে কোনও দল ম্যাচ জিততে পারে। আমরা এর আগেও এটা দেখেছিলাম ওয়াল্ড কাপে। শেষ অবধি ম্যাচ জিতেছে আর্জেন্টিনা। এখানেও তাই হল। তবে এটা বলতে পারি, দেশের সেরা দুই দল ম্যাচ খেলেছে। দারুণ খেলা হয়েছে। এটাই বড় প্রাপ্তি। ১২০ মিনিট টানটান উত্তেজনা ছিল ম্যাচে। দুই দলের ফুটবলারদেরকেই কৃতিত্ব দিতে হবে।'