আনোয়ার আলি (Anwar Ali) নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবারও নিতে পারল না এআইএফএফ-এর (AIFF) প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি। ঝুলে রইল শুক্রবার অবধি। আনোয়ার ইস্যুতে ২২ আগস্ট প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি যে সব পক্ষের বক্তব্য আরও একবার শুনবে, সেটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। বিকেল পাঁচটা থেকে এই শুনানি চলে রাত সাড়ে ন'টা পর্যন্ত। ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) ইতিমধ্যেই সই করে ফেলেছেন আনোয়ার। শুরু করে দিয়েছেন অনুশীলনও। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) জন্যও তাঁর নাম রেজিস্টার করিয়েছিল লাল-হলুদ। ফলে আনোয়ার যে আর মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant) ফুটবলার নন তা স্পষ্ট।
তা হলে কী কারণে ফের শুনানি?
যে পদ্ধতিতে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছে আনোয়ার এনওসি (NOC) চেয়েছেন, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর চুক্তি ভাঙা নিয়ে প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি কী রায় দেয় সেদিকে তাকিয়ে ফুটবল মহল। মোহনবাগান শিবির মনে করছে, শাস্তি পেতে হবে আনোয়ার, দিল্লি এফসি (Delhi FC) ও ইস্টবেঙ্গলকে। যদিও এই তিন পক্ষের দাবি, আনোয়ারের কোনও শাস্তিই হবে না। ম্যাচ ফিট হলেই, লাল-হলুদ জার্সিতে তাঁকে নামিয়ে দেবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)।
কবে চূড়ান্ত রায়?
মনে করা হচ্ছিল বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত রায় দিয়ে দিতে পারে কমিটি। এদিনের বৈঠকে মোহনবাগান, আনোয়ার, দিল্লি এফসি আর ইস্টবেঙ্গল চার পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। কিন্তু সব শোনার পরও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেটা কবে হবে, সেটাও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। আনোয়ার ইস্যু নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি জানিয়ে দেয়, আনোয়ার যেখানে চাইবেন, সেখানেই খেলবেন। এজন্য তাঁকে প্রয়োজনীয় 'এনওসি' দিতে হবে মোহনবাগানকে।
কেন এখনও ম্যাচ খেলেননি আনোয়ার?
আগের দিন লাজংয়ের বিরুদ্ধে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত আনোয়ারকে দলেই রাখেননি। তিনি ম্যাচ ফিট না হওয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। সামনে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। তারপর রয়েছে আইএসএল-এর লম্বা লড়াই। তাই মরসুমের শুরুতেই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্সের হালও চিন্তায় রেখেছে লাল-হলুদকে। তাই দ্রুত আনোয়ারকে ম্যাচ ফিট করিয়ে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যেই রায় বেরোলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ইস্টবেঙ্গল।