এবার আনোয়ার আলি (Anwar Ali) ইস্যুতে সমস্যায় পড়ে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant) সঙ্গে আনোয়ার আলির চুক্তি বৈধ। তবে সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার যে প্রক্রিয়া তা বৈধ নয়। এমনটাই রায় দিয়েছে এআইএফএফ-এর (AIFF) প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি (Player Status Commitee)। শুক্রবার শুনানির পর শনিবার এই মামলার রায়ের কপি দেওয়া হয়। সেখানেই এ কথা উল্ল্যেখ করা হয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল শুধু নয়, সমস্যায় পড়তে পারেন আনোয়ারও। সঙ্গে দিল্লি এফসি (Delhi FC) ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল?
ইস্টবেঙ্গল যে ভাবে আনোয়ারকে সই করাতে চেয়েছিল তা অবৈধ। তবে এক্ষেত্রে লাল-হলুদ ক্লাব আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কিছুটা সময় পাবে। সময় পাবেন আনোয়ার আর দিল্লি এফসিও। রায়ের কপিতে বলা হয়েছে, 'আনোয়ারের টার্মিনেশন বৈধ নয়।' পাশাপাশি এ ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি-র বক্তব্যও জানতে চেয়েছে প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি। পাঁচ দিনের মধ্যে সে বক্তব্য জমা দিতে হবে। যদি এমনটা দেখা যায়, অবৈধভাবে আনোয়ারের সঙ্গে চুক্তি করেছে লাল-হলুদ ক্লাব তবে বড় শাস্তি হতে পারে ইস্টবেঙ্গলের। শাস্তি পেতে পারেন আনোয়ার ও দিল্লি এফসি। দুই ক্লাবের ট্রান্সফার ব্যান হতে পারে। আবার মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হতে পারে।
কী শাস্তি হতে পারে?
আনোয়ারকেও সাসপেন্ড করতে পারে ফেডারেশন। তবে এখনই কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা বলা যাচ্ছে না। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে না পারলে আনোয়ারকে সই করানোর ইস্যুতে মুখ পুড়তে পারে লাল-হলুদের। যদিও তাদের সামনে আদালতের দরজা খোলা থাকবে। তবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের দাবি ১৫ কোটি টাকা দিলে আনোয়ারকে সই করাতে পারে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে দুটি ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না লাল-হলুদ। অর্থাৎ ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়বে ইস্টবেঙ্গল। আর সেটা হলে সমস্যা বাড়বে তাদের।
কতদিন সময় পেল ইস্টবেঙ্গল?
এই মামলায় এবার ইস্টবেঙ্গলও জড়িয়ে পড়ল। তাদের সামনে পাঁচদিন সময় দিয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি। পাশাপাশি একই সময় দেওয়া হয়েছে দিল্লি ও আনোয়ারকেও।