আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ভিডিও পোস্ট করে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) খোঁচা মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant)। সোশ্যাল মিডিয়ায় গত মরসুমের ডার্বির ভিডিও পোস্ট করেছে সবুজ-মেরুন ক্লাব। আর সেখানে মূল ফোকাসে আনোয়ার। পঞ্জাবের এই ফুটবলারকে সই করিয়ে নিলেও, ইস্টবেঙ্গল তাঁকে খেলাতে পারবে কিনা তা নিয়ে নতুন করে জটিলতা শুরু হতেই এমন পোস্ট। আর এই পোস্টে মোহনবাগান যে আসলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকেই নিশানা করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বল AIFF-এর কোর্টে
আনোয়ারারের ভবিষ্যৎ ঠিক কী তা জানা না গেলেও, সূত্রের খবর গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখবে এআইএফএফ-এর (AIFF) প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি। কেরিয়ার বাঁচানোর স্বার্থে আনোয়ার নিজেও সেই আবেদন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এখন ফেডারেশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। ফেডারেশনের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুসারে লোন ডিল নিয়ে যে নিয়ম ফিফা (FIFA) চালু করেছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে লাঘু হবে ২০২৫-এর জানুয়ারি মাসের ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে। এদিকে এখন চলছে আগস্ট ট্রান্সফার উইন্ডো। ইস্টবেঙ্গল তার মধ্যেই এই ডিফেন্ডারকে সই করিয়ে নিয়েছে। ফলে এখন যা পরিস্থিতি তাতে লাল-হলুদে সই করলেও এখনও আনোয়ারের খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছে না কোনও পক্ষ। সরকারি ঘোষণাও হয়নি। তবে মোহনবাগান আনোয়ারকে ধরে রাখার ব্যাপারে এখনও আত্মবিশ্বাসী। সেটা এই পোস্ট দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। যদিও এই পোস্টেও ভারতীয় ডিফেন্ডারের নাম উল্ল্যেখ করেনি সবুজ-মেরুন।
২০২৩ মরসুমে চার বছরের লোন ডিলে দিল্লি এফসি (Delhi FC) থেকে মোহনবাগানে এসেছিলেন আনোয়ার। মরসুমের অনেকটা সময় চোটের জন্য বাইরে থাকতে হলেও, যেটুকু খেলেছেন তাতে ভরসা দিয়েছেন এই ডিফেন্ডার। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে গোলও রয়েছে তাঁর। তবে এবার তাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে চুক্তি সই করলেও তিনি কোন দলে খেলবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।