আনোয়ার আলি (Anwar Ali) ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে কবে নামবেন? শনিবার ভারতীয় দলের ডিফেন্ডারের ট্রান্সফারের ব্যাপারে শুনানি হয়। প্রয়োজনীয় কগজপত্র দিতে আরও ১০ দিন সময় চেয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি (Delhi FC)। তবে সূত্রের খবর, ডুরান্ড কাপের ডার্বির আগেই আনোয়ারকে দলে চেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আর সেটা হতে দিতে নারাজ মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)।
কী হল আজকের শুনানিতে?
আনোয়ারের টার্মিনেশন যে বৈধ নয় তা আগেই জানিয়েছিল প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি। আর সেই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করতে চাইছে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি-র দাবি খন্ডন করে তারা দাবি তুলেছে, দ্রুত আনোয়ারকে সাসপেন্ড ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে ইস্টবেঙ্গলের দাবি আপাতত আনোয়ারকে খেলতে দেওয়া হোক। দিল্লি এফসি-র হয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে দেওয়া হোক ভারতীয় দলের এই ডিফেন্ডারকে। সিদ্ধান্ত জানানোর পর, যা হবে তা দেখা যাবে।
কেন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল?
ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি ১০ দিন সময় চেয়েছে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করতে। যদি এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় তা হলে পিএসসি শাস্তির ব্যাপারে না জানানো অবধি ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলতে পারবেন আনোয়ার। এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে ১৪ আগস্ট। এরপর রয়েছে ডার্বি। ১০ দিনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২০ আগস্ট। সিদ্ধান্ত জানাতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। সেই সময় আনোয়ারকে সাসপেন্ড করা হলেও দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলা যাবে তাঁর। ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে অবশ্যই হার এড়াতে চাইবে লাল-হলুদ। সেই কারণে আনোয়ারকে দরকার।
কতদিনের সাসপেনশন পেতে পারেন আনোয়ার?
চার থেকে ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে আনোয়ারকে। সেক্ষেত্রে এই কয়েক মাস তিনি কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না। তবে এর থেকে বেশি সময় আনোয়ারকে সাসপেন্ড করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর্থিক জরিমানা যা হবে তা দিয়ে দিতে হবে তাঁকে। যদিও এই টাকার অঙ্ক নিয়ে ফিফার কাচে আবেদন করতে পারে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি।
কবে থেকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে নামতে পারেন ডিফেন্ডার?
মনে করা হচ্ছে, এই মুহূর্তে না হলেও, জানুয়ারি মাস থেকে অর্থাৎ আইএসএল-এর শেষ পর্ব থেকে লাল-হলুদ জার্সিতে দেখা যেতে পারে আনোয়ারকে। কারণ, ততদিনে তাঁর উপর থেকে ব্যান উঠে যাবে।