এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাল রান করতে পারেননি টিম ইন্ডিয়ার ওপেনার শুভমন গিল। এরপর নেপালের বিরুদ্ধে দারুণ ব্যাট করলেও ভারত পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা যে একেবারেই আলাদা তা মানছেন গিল। সুপার ফোরের লড়াইয়ের আগে সে কথা মেনেই নিলেন গিল।
নেপালের বিরুদ্ধে ভালো খেলেও, পাকিস্তান ম্যাচের আগে তাঁর ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর উত্তরে গিল বলেন, ‘মাঝেমধ্যে টেকনিক্যাল কারণেই রানখরা হয় না, বোলাররা খুব ভালো করলেও হয়। আপনার প্রক্রিয়ার ওপর ভরসা রাখতে হবে। দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। ওপেনারদের শুরুটা ভালো করতে হবে, শুরু থেকেই আধিপত্য করতে হবে।’
রোহিত শর্মা বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। আর সেই কারণেই ক্যাপ্টেনের সঙ্গে ওপেন করতে সুবিধা হয় বলেই জানালেন গিল। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে গিল বলেন, ‘ও এমন একজন, যে শুরু থেকেই বোলারদের ওপর দাপট দেখাতে চায়। আমি মাটি ঘেষা শট খেলতে পছন্দ করি। যেহেতু আমরা দুজন দুই কৌশলে খেলি, এটা প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন হয়।’
রোহিত শর্মা ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শাহিন শাহ আফ্রিদির ইনসুইং ইয়র্কারে তিনি এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন। তারও আগে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালে একইভাবে আউট হয়েছিলেন মহম্মদ আমিরের বলে। বাঁহাতি পেসারদের সামনে রোহিতের দুর্বলতা তো আছেই। পাশাপাশি সমস্যা রয়েছে কোহলিরও। ওয়ানডেতে ২০২১ সালের পর থেকে বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে রোহিতের গড় মাত্র ২৩, আউট হয়েছেন ছয়বার। একই সময়ে কোহলির গড় আরও কম—২১.৭৫। এই সময়ে কোহলি আউট হয়েছেন চারবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সমস্যা চোখে পড়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে এসে। কেন এই সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় ব্যাটারদের?
প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন গিল। তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা নতুন বোলারকে মোকাবিলা করি, তখনই তারা পার্থক্য গড়ে দেয়। আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব বেশি খেলি না, তাদের বোলারদের খেলতে আমরা অভ্যস্ত নই। শাহিনের (আফ্রিদি) দারুণ সুইং আছে, নাসিমের আছে পেস আর মুভমেন্ট এবং তারা উইকেট থেকেও সুবিধা আদায় করে নিতে জানে। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে তারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।’