এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে সহজেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় দল। বিশ্বকাপের আগে এই জয় ভারতীয় দলের জন্য খুব জরুরী ছিল। দেখে নেওয়া যাক, এশিয়া কাপ থেকে ভারতের ৫ প্রাপ্তি কী কী?
কেএল রাহুলের ফিরে আসা
চোট কাটিয়ে ফিরে আসা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কেএল রাহুল সরাসরি এশিয়া কাপে খেলতে এসেছিলেন। রাহুল এত ভালো খেলবেন তা আশা করেননি ভক্তরা। রাহুল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন সুপার-৪-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেই ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারে চার নম্বরের মাথাব্যথাও দূর করেছেন তিনি।
রোহিতের সঙ্গে দারুণ ওপেনিং গিলের
এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের দুই ওপেনার শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা দারুণ ফর্মে ছিলেন। এই টুর্নামেন্টের ৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩০২ রান করেন গিল। এই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১২১ রানের সেঞ্চুরি ইনিংসও খেলেন। অন্যদিকে রোহিত ৬ ম্যাচের ১৯৪ রান করেছেন। এখন এই ওপেনিং জুটি বেশ প্রতিষ্ঠিত।
বুমরা দারুণ ফাস্ট বোলিং করেছেন
কেএল রাহুলের পাশাপাশি ফাস্ট বোলার জসপ্রীত বুমরাও চোট কাটিয়ে ফিরেছেন। যদিও এশিয়া কাপের আগে তিনি অধিনায়ক হিসেবে আয়ারল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন। কিন্তু এশিয়া কাপ ছিল বুমরার কাছে বড় পরীক্ষা। চলতি মরশুমে ৪ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন বুমরা।
মহম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিং
বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে অসাধারণ ফর্মে ছিলেন ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজ। ফাইনালে সিরাজের বোলিং এমন বিধ্বংসী ছিল যে শ্রীলঙ্কা ৫০ রানে গুটিয়ে যায়। ফাইনালে সিরাজ ৭ ওভার বল করেছিলেন, ২১ রান দিয়ে ৬টি বড় উইকেট তুলে নেন। এই টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচের ৪ ইনিংসে মোট ১০ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। বিশ্বকাপের আগে সিরাজের এই ফর্ম মাথা ব্যাথা বাড়িয়ে দিতে পারে প্রতিপক্ষ দলগুলোর।
পান্ডিয়ার দুর্দান্ত অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স
এবার এশিয়া কাপে ফাস্ট বোলার হার্দিক পান্ডিয়ার রূপে আরেকটি বড় সুবিধা পেয়েছে ভারতীয় দল। এই টুর্নামেন্টে বল ও ব্যাট দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পান্ডিয়া। ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডারে ভারতীয় দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন তিনি। পান্ডিয়া ৫ ম্যাচের ২ ইনিংসে ব্যাট করেছেন, যেখানে তিনি ৪৬ এর দুর্দান্ত গড়ে ৯২ রান করেছেন। এই সময়ে, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠিন সময়ে ৮৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও খেলেন।
বোলিংয়েও শক্তি দেখিয়েছেন পান্ডিয়া। ৫ ম্যাচের ৪ ইনিংসে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এই সময়ের মধ্যে, তার সেরা পারফরম্যান্স ৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়া, যা তিনি ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রদর্শন করেছিলেন।