জনি কাউকোর জোড়া গোলে নৈহাটি স্টেডিয়ামে মিনি ডার্বি জিতে নিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। শনিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে প্রদর্শনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান ও মহমেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting) । ম্যাচের ফল ২-১। দুই দলের কাছেই এটা ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। কিন্তু ময়দানের দুই বড় দল একে অপরের মুখোমুখি হলে উদ্দীপনার পারদ চড়তে বাধ্য। আর সেটাই হল শনিবার। মাঠে প্রচুর দর্শক এসেছিলেন। তাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনাও ছিল দেখার মতো।
আন্দ্রে চেরনোভিশের মহমেডান দারুণ ফুটবল খেলেছে। বিশেষ করে প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ এটিকে মোহনবাগানকে রীতিমত চাপে রেখেছিল তারা। নতুন বিদেশি ওউসমানে এবং নুরউদ্দিনকে দলে রেখে শুরু করেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। একের পর এক আক্রমণ করে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেয় সাদা-কালো শিবির। চল্লিশ মিনিটে শেখ ফৈয়াজকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মহমেডান। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অভিষেক হালদার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এটিকে মোহনবাগান। নতুন ছকে আক্রমণ শানাতে থাকে জুয়ান ফেরান্দোর দল। ফলে সমতায় ফেরে তারা। ৬৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে ফরদিন আলি মোল্লাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। পেনাল্টি থেকে দলকে সমতা রনে দেন জনি কাউকো (Joni Kauko)। প্রথমার্ধে সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল মহমেডানকে। এই সুযোগ গুলি কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান বাড়াতে পারত। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে সবুজ-মেরুনের হয়ে জয় সূচক গোলটি করেন জনি কাউকো। ফ্রিকিক থেকে গোল করেন তিনি।
এদিন সবুজ মেরুন দলের ২০ জন ফুটবলার ও মহামেডান দলের ১৮ জন খেলোয়াড় মাঠে নেমেছিলেন। ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে জুয়ান ফেরান্দো বলেছেন, তিনি দলগত পারফরম্যন্সে বিশ্বাসী। সবে অনুশীলন শুরু করে দল যা খেলেছে তাতে তিনি বেশ খুশি। মহমেডানের মত ভাল দলের বিরুদ্ধে এই সময় এই পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো লাগার। প্রায় একই কথা মহমেডান স্পোর্টিং কোচ আন্দ্রে চেরোনোশিভের গলায়। দলের দুই বিদেশির পারফরম্যান্সে খুশি তিনিও।