ভারতীয় দলের হেড কোচ পদে বহাল থাকছেন রাহুল দ্রাবিড়ই। বুধবার বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে পোস্ট করে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হল। বিশ্বকাপের পর রাহুল দ্রবিড়ের সঙ্গে বিসিসিআই-এর চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেই চুক্তি নবীকরণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কোচিং স্টাফদেরও চুক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
মনে করা হচ্ছিল, রাহুল দ্রাবিড় হয়ত বিশ্বকাপের পর আর কোচের পদে থাকবেন না। সংবাদমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকল্প হিসেবে ভিভিএস লক্ষ্মণের নামও শোনা যাচ্ছিল। তবে সমস্ত জল্পনাকে দূরে সরিয়ে ভারতীয় দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলা দ্রবিড়েই আস্থা রাখল বোর্ড। বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিল ভারতীয় দল। রোহিত শর্মারা টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় কাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। তবে আবারও সেই দ্রবিড়ের উপরেই ভরসা রাখছে বিসিসিআই।
টিম ইন্ডিয়ার কোচ পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে, ন্যাশানাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বে ছিলেন দ্রাবিড়। সেখান থেকেই উঠে আসেন একাধিক তারকা ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। এর পরেই মিস্টার ডিপেন্ডেবেলকে বড় দায়িত্ব দেয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড। সেই সময় থেকেই এই দায়িত্ব পালন করছেন দ্রাবিড়। আবারও সেই দায়িত্বেই বহাল থাকলেন তিনি।
ভারতীয় দল এখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলছে। বিশ্বকাপের পর এই সিরিজ হওয়ায় সূর্যকুমার যাদবদের কোচের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মণকে। এরপর ফের নিজের দায়িত্বে ফেরত আসবেন দ্রাবিড়।
রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির থেকে টিম ডিরেক্টর/টিম মেন্টর হওয়ার একাধিক প্রস্তাব ছিল। ভারতীয় দলের কোচ হওয়া বড় দায়িত্ব ও পরিশ্রমের বিষয়। সেই তুলনায় IPL-এর টিমের ডিরেক্টর বা মেন্টর হলে অনেক কম দায়িত্ব ও খাটনি। সেই সঙ্গে পারিশ্রমিকের পরিমাণও অনেক। তবে একথা অনস্বীকার্য যে ভারতীয় দলের সঙ্গে জড়িত থাকার মধ্যে একটি আলাদা সন্তুষ্টি ও আবেগ রয়েছে। আর সেই কারণেই টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবে বহাল রইলেন তিনি। পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে মাথায় রেখেই এখন থেকেই ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে বিসিসিআই। আগামী এক বছরের জন্য, বা ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাতে হবে রাহুল দ্রাবিড়কে।