কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। চলতি বছরের শুরুতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মহারাজ। সেকথা মাথায় রেখে, আজ কোভিডের টিকা নেওয়া কতটা যুক্তিগ্রাহ্য তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আজ বেলা দুটো নাগাদ লাল মার্সিডিজ় চেপে হাসপাতালে প্রবেশ করেন সৌরভ। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলতে চাননি। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে বেরোনোর সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যে কতটা মারাত্মক আকারে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তার প্রত্যক্ষ প্রভাব এসে পড়েছে আমাদের এই বাংলাতেও। গতকাল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি। কলকাতাতেও ১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হারও সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৪৬ শতাংশে।
IHME-র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে অতি খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখিন হবে ভারত। স্টাডিতে বলা হচ্ছে, ১০ মে ভারতে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ৬০০ ছুঁতে পারে। ১২ এপ্রিল থেকে পয়লা অগাস্টের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার মানুষের। অর্থাত্, জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হতে পারে ৬ লক্ষ ৬৫ হাজারের।
সংক্রমণ রুখতে করোনাবিধি মেনে চলা ছাড়াও টিকাকরণই পথ বলে মনে করে চিকিৎসক মহল। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে টিকাকরণের সংখ্যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় খানিকটা কমেছে। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৫৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ১২১ জনের টিকাকরণ হয়েছিল।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সৌরভের বুকে তিনটি স্টেন বসানো হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ২ জানুয়ারি সকালে বাড়িতে জিম করতে করতে সৌরভ হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায় এবং মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান যে তাঁর হার্টে তিনটে ব্লকেজ রয়েছে। প্রথমে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে দুটো ব্লক খুলে দেওয়া হয়। পরে গত ২৭ জানুয়ারি তিনি আরও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং সেইসময় তাঁর হৃদয়ন্ত্রে আরও একটা স্টেন বসানো হয়।
দেখুন সেই VIDEO :