দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন বাংলা দলের আহত ওপেনার অভিষেক রমন। এমনটাই মনে করছেন বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল। রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিনেই ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে চালকের আসনে বাংলা। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান করেছে বাংলা।
৪১ রান করে পিঠের ব্যথায় মাঠ ছাড়েন অভিষেক। অরুণ লাল বলেন, "মনে হচ্ছে ওর চোট গুরুতর কিছু নয়। আগামীকাল খেলতে পারবে। দলের ফিজিও ওকে দেখছে। ঝুঁকি নিতে চাইনি বলে আজ আমরা আর ওকে নামাইনি।"
চালকের আসনে বাংলা
প্রথম দিনেই শতরান করলেন সুদীপ ঘরামি (Sudip Gharami)। সবুজ ঘাসের উইকেটে টসে জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান ঝাড়খন্ড (Jharkhand) অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারি (Sourav Tiwari)।
শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে হলেও উইকেট হারাননি বাংলার দুই ওপেনার অভিষেক রমন ও অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ। ৪১ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় অভিষেককে। আর সেই জায়গাতেই ব্যাট করতে নামেন বছর ২৩ এর সুদীপ। বাংলার কোচ অরুণ লালকে নিঃসন্দেহে আশ্বস্ত করবে সুদীপের এই পারফরম্যান্স। ১৭৫ বলে নিজের শত রান পূর্ণ করেন তিনি। দিনের শেষে বাংলা রান ১ উইকেট হারিয়ে ৩১০। রানের পাহাড়ের দিকে এগিয়ে চলেছেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা। উইকেটে রয়েছেন সুদীপ-অনুষ্টুপ। ১৭৮ রানের জুটি গড়ে তুলেছেন তাঁরা। ১৩৯ বলে ৮৫ রান করে নট আউট অনুষ্টুপ। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১১টি চার। আর অন্যদিকে ২০৪ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত সুদীপ। তিনি মেরেছেন ১৩টি চার ও একটি ছক্কা।
আরও পড়ুন: ISL-এ ইস্টবেঙ্গলের কোচের দৌড়ে কারা?
আরও পড়ুন: 'টেস্ট ক্রিকেটই আসল,' কাকে নিশানা সৌরভের?
এর আগে ১২৪ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে দলের ভিতকে শক্ত জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে যান অধিনায়ক ঈশ্বরণ। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও একটি ছক্কা। একটিমাত্র উইকেট পেয়েছেন সুশান্ত মিশ্র। উইকেট পাননি শাহাবাজ নাদিম, অনুকুল রায়রা। ক্রমাগত সঠিক জায়গায় বল করতে না পারায় উইকেট তুলে নিতে পারেননি ঝাড়খণ্ড বোলাররা। তার মধ্যে নাদিম আবার ৫টা নো-বল করেছেন। দিনের শেষ ১০ ওভারে এসেছে ৪৭ রান। একটাও উইকেট হারায়নি বাংলা।