কলকাতা লিগের (GFL) শেষ ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সঙ্গে ড্র করল চ্যাম্পিয়ন হওয়া মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting)। ম্যাচের ফল ১-১। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন বিবেক সিং। একেবারে শেষ মুহূর্তে মহামেডানের হয়ে সমতা সূচক গোলটি করেন ফজলু রহমান। লিগ খেতাব নিশ্চিত হয়ে গেলেও মিনি ডার্বিতে জিতে আনন্দে মাততে চেয়েছিলেন শেখ ফৈয়াজ, মার্কাস জোসেফরা। কিন্তু তাদের সেই আশা পূরন হয়নি। বরং কোনোমতে হার বাঁচিয়ে সম্মান রক্ষা করল সাদা-কালো শিবির।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বিবেক সিংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ডানদিক থেকে জেসিন টিকের বাড়ান বল ধরেন ফাঁকায় দাড়ান বিবেক। বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি। শেষপর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে দলকে সমতায় ফেরান ফজলু রহমান। এরপরেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মহমেডান। কিন্তু বল পোষ্টে লেগে ফিরে আসে।
এদিন আইএসএলে খেলা তিনজন ফুটবলারকে দলে রাখা হয়েছিল। কলকাতা লিগে মহমেডান প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে দাপট দেখালেও এদিন সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি মার্কাস জোসেফরা। ক্যারেবয়ান স্ট্রাইকারকে কড়া জোনাল মার্কিংয়ে রাখতেই সাদা-কালো আক্রমণ অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে যায়। তবুও বেশ কয়েকটি আক্রমন তুলে নিয়ে এনেছিল মহামেডান। কিন্তু অতুল উন্নিকৃষ্ণনের নেতৃত্বাধীন ইস্টবেঙ্গল রক্ষন ভাঙতে পারেননি। উল্টে পাল্টা আক্রমনে এসে গোল তুলে নেয় লাল হলুদ।
বিরতির পরে দুই দলই ম্যাচের রাশ তুলে নিতে চেয়েছিল। একটা সময় প্রতিআক্রমন নির্ভর ফুটবল খেলতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল কার্যত পুরো দলই নিজেদের অর্ধে ঢুকে পড়েছিল। প্রতিপক্ষের এই আত্মসমর্পনে সুবিধা হয় মহমেডানের। পরপর দুই মরশুম কলকাতা লিগ জিতল মহমেডান। অন্যদিকে কলকাতা লিগে একটাও ম্যাচ জিততে পারল না ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের পত মহামেডান দলের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ''ট্রফি নিশ্চিত হলেও ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাজিত হলে আনন্দ ধাক্কা খেত। সেদিক থেকে শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পারায় খুশি তারা।''