কোপা আমেরিকা থেকে বিদায় নিল ব্রাজিল (Brazil)। দারুণ ছন্দে থাকা উরুগুয়ের (Uruguay) বিরুদ্ধে গোল করতে পারেনি ব্রাজিল (Brazil)। ৯০ মিনিটের লড়াই শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানেই বাজিমাত করে উরুগুয়ে। সেমি ফাইনালে চলে গেল তারা। বিদায় নিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
উত্তেজনাপূর্ণ খেলা উপহার দিয়েছে সেলেসাও ও উরুগুয়ে শিবির। খেলার পাশাপাশি শারীরিক ও কথার আক্রমণে উত্তেজনা ছড়ালেও ৯০ মিনিটের ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়। তবে তার আগেই লাল কার্ড খান উরুগুয়ের নাহিতাস নান্দেজ। রড্রিগোকে কড়া ট্যাকেল করে মার্চিং অর্ডার পান তিনি। তবুও সুযোগ তৈরি করেও, ঠিক গোলের কাছাকাছি যেতে পারছিল না ব্রাজিল। পরে কোচ দরিভাল জুনিয়র তিনজনকে বদলি নামান। তুলে নেন রাফিনহা-পাকেতা ও গোমেজকে। পরিবর্তে স্যাভিও, আন্দ্রেস পেরেইরা ও ডগলাস লুইজ নামায় সেলেসাওদের খেলায় গতি বাড়ে।
এমনিতেই দলে ছিলেন না ভিনিশিয়াস জুনিয়র। খেলছেন না নেইমারও। ফলে শুরু থেকেই এবারের কোপা আমেরিকায় গোল খরায় ভুগছিল ব্রাজিল দল। কোয়ার্টার ফাইনালে এসে তার খেসারত দিতে হল ব্রাজিলকে। ১০ মিনিটের মাথায় ডারউইন নুনিয়েজ সুযোগ পেয়েছিলেন উরুগুয়ের হয়ে লিড নেওয়ার। তবে তিনি হেড দেওয়ার চেষ্টায় ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। ব্রাজিলও বড় সুযোগ মিস করে ২৮ মিনিটে। এন্ড্রিকের বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতর পেতে পারতেন রাফিনহা। কিন্তু এই সেলেসাও উইঙ্গার বলের কাছেই পৌঁছাতে পারেননি।
প্রথমবারের মতো সেলেসাও একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছেন ১৭ বছর বয়সী তরুণ স্ট্রাইকার এন্ড্রিক ফেলিপে। বড় ম্যাচে তার ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় ছিল ব্রাজিল ভক্তরা, তবে তিনি সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি।
সুযোগ পেলেও নুনিয়েজ-ফ্রেডরিক ভালভার্দেরা বেশ কয়েকটি শট নিয়েই গোলবারের অনেক ওপর দিয়ে মেরে বসেন। ৮৫ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে শট নেন এন্ড্রিক, অতটা জোর না থাকায় উরুগুয়ে গোলরক্ষক সহজেই সেটি নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে ব্রাজিল রদ্রিগো, ব্রুনো গুইমারেসকে তুলে মার্টিনেল্লি ও এভানিলসনকে নামায়। তবে কোনো কিছুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলটি আসছিল না। ফলে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য সমতা থাকার ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। ৪-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জয় পায় উরুগুয়ে।