ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম তারকা ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানের বৈবাহিক জীবনে ইতি পড়তে চলেছে। ধাওয়ানের বাঙালি স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেই খবর জানিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ২০১২ সালে শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সময়ে আয়েশা ছিলেন দুই সন্তানের মা। শিখরের সঙ্গে তাঁর সাত বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
মঙ্গলবার সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে এক বিশাল পোস্ট করেন আয়েশা। লেখেন, 'দ্বিতীয়বার ডির্ভোসি না হওয়া পর্যন্ত ভাবতাম, ডিভোর্স একটা নোংরা শব্দ'।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শিখরের সঙ্গে আয়েশার এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। ২০১২ সালে বয়সে অনেকটাই ছোট শিখর ধাওয়ানকে বিয়ে করেন মেলবোর্নের কিক-বক্সার আয়েশা। তাঁর আগের পক্ষের দুই মেয়ে-কে নিজের কন্যা হিসেবেই মেনে নেন ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যান। পরবর্তীকালে আয়েশা-শিখরেরও একটি পুত্র সন্তান হয়।
২০০৯ সালে শিখরের সঙ্গে আয়েশার পরিচয় হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুকে ছবি দেখে পছন্দ হয়েছিল শিখর ধাওয়ানের। পরে জানা যায় হরভজন সিং তাঁদের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড। কিন্তু ওই সময় জাতীয় দলে জায়গা পাকা হয়নি শিখরের। তাই বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত চার হাত এক হয় ২০১২ সালে। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে এর আগে গোলমাল শোনা যায়নি কখনই। শিখরের সঙ্গে দেশে এবং বিদেশে বহু সফরে গিয়েছিলেন আয়েশা। সুখী কাপেল বলেই জানতেন সকলে।
মঙ্গলবার আয়েশার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ঘোষণার আগে কিছুই বোঝা যায়নি। আইপিএল ২০২১ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ভাগ শুরু হতে আর কয়েকদিনই হাতে বাকি রয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপের আর বেশি দেরি নেই। তার আগে পারিবারিক জীবনের ঝড় নিয়ে শিখর অবশ্য মুখ খোলেননি। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রয়েছেন শিখর। সেখানে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন তিনি।