ডুরান্ড কাপের ডার্বি হয়নি। শহর কলকাতা জুড়ে চলা প্রতিবাদের মাঝে এবার সেনাবাহিনী পরিচালিত টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল এই শহরেই হবে বলে জানিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তারা। তাঁদের দাবি প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। এবং তাঁরা নিশ্চিত, ডার্বি না হলেও, ডুরান্ড কাপের চূড়ান্ত পর্বের ম্যাচ আয়োজিত হবে ফুটবলের মক্কাতেই।
তিন প্রধানের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'গত ডার্বি এখন অতীত। আমরা এখন প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ যেনো কলকাতাতেই করা হয়।' পাশাপাশি আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনাতেও দ্রুত বিচার চেয়েছেন তাঁরা। বলেন, ' দায়িত্ববান ক্রীড়া সংগঠন হিসাবে আমরা সিবিআই সহ তদন্তকারী সমস্ত আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ করতে চাই যাতে আমাদের বোন "তিলোত্তমা" দ্রুত সুবিচার পায় এবং দোষীরা কঠিনতম শাস্তি পায়, তার সাথে তার পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। এই লড়াইয়ে যেকোনো রাজনৈতিক রঙ বাদ দিয়ে আমরা সর্বতোভাবে আছি এবং থাকব।।'
রবিবার ডার্বি না হওয়ায় তিন প্রধানের সমর্থকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল ইএম বাইপাস। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই ডার্বির ইতিহাসে অন্য বড় ম্যাচ দেখেছিল তিলোত্তমা কলকাতা। এক হয়ে সহযোদ্ধার মত পুলিশের মার থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থককে বাঁচিয়েছেন মোহনবাগান ফ্যানরা। দেখা গিয়েছে এর ঠিক উল্টো দৃশ্যও। তিন প্রধানের প্রানভোমরা সমর্থকদের পাশে সেদিন দেখা যায়নি কর্তাদের। মঙ্গলবার ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে সেই সমর্থকদেরই পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা নিতু সরকার, মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ও মহমেডান সচিব ইসতিয়াক আহমেদ রাজু।
তবে সমর্থকদের সমস্ত দাবি তাঁরা যে একমত নন, তাও বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা। রবিবারের মিছিল থেকে জাস্টিস ফর আরজি কর দাবি যেমন উঠেছে, ঠিক সেভাবেই উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিও। সেই দাবি সমর্থন করছেন না তিন ক্লাবের কর্তারা।