১২ বছর পর কোনও সর্বভারতীয় ট্রফি জিতল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সুপার কাপ ফাইনালে (Super Cup Final 2024) পিছিয়ে থেকেও লাল-হলুদের েই জয় গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ফ্যানদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে। ওড়িশার বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জিতল ইস্টবেঙ্গল। তাও আবার প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে থেকে। এক্সট্রা টাইমের শেষদিকে মোয়া রালতের করা ভুল কাজে লাগিয়ে করে যান ক্লেইটন সিলভা।
প্রথমার্ধে যদিও সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে না পারায় ভুগতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধে গোল খেলেও বেশকিছু ভাল আক্রমণ করেছে লাল-হলুদ। ৩২ মিনিটে পার্দোর শট কোনও মতে আটকান মোয়া। এরপরের মিনিটেই কর্নার থেকে সিভেরিওর হেডও বাঁচান গোলকিপার মোয়া। ৩৮ মিনিটে গোল করেন দিয়েগো মরিসিও। জাহুর লম্বা বল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে নামান রয় কৃষ্ণা। বোরহা সুযোগ পেলেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল যায় মরিসিও-র কাছে। দারুণ শটে দলকে এগিয়ে দিলেন তিনি। এরপরেও গোল শোধের চেষ্টা করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে তা হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে নাওরেম মহেশ নামতে খেলা ঘুরল। অসাধারণ থ্রু পাসে গোলের দরজা খুলে যায়। মহেশের দেওয়া সেই বল ধরেই গোল করেন নন্দাকুমার। গোটা প্রথমার্ধ ইস্টবেঙ্গল মিডফিল্ডাররা যা করতে পারছিলেন না সেটাই করে দেখালেন ভারতীয় দলের তারকা। শুধু মহেশ নয়, কার্লেস নামিয়ে দেন লালচুঙনুঙ্গাকেও। এতে ডিফেন্স আরও শক্তিশালী হয়। আবারও নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হন নন্দাকুমার। ৬০ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। মরতাজা ফল ফাউল করেন বোরহাকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন সাউল ক্রেসপো। এগিয়ে যায় লাল-হলুদ।
৬৮ মিনিটে ফল লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়ে যায় ওড়িশা। ৭০ মিনিটে দিয়েগো মরিসিও শট কোনওমতে বাঁচান গিল। মরিসিও বারেবারে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে হানা দিয়েছেন। ৮৫ মিনিটে বিষ্ণুকে তুলে সায়ন বন্দোপাধ্যাকে নামিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। গোটা দলের চোখে তখন গোলের খিদে। বিষ্ণু জায়গা মতো বল পেলেও তা থেকে কাজের কাজটা হচ্ছিল না। এদিন জাহুকেও একেবারে বোতলবন্দী করে ফেলেন সৌভিক চক্রবর্তী।
তবে ৯৮ মিনিটে সমতা ফেরায় ওড়িশা। ১০ জনের দলকেও তখন ঠেকিয়ে রাখা বেশ কঠিন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জাহু। এক্সট্রা টাইমে গড়ায় ম্যাচ। সুযোগ এসেছিল দুই পক্ষের কাছেই। তবে গোল করে কাজের কাজ করে যান ক্লেইটন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওড়িশার কাছ থেকে ট্রফি কেড়ে সুপার কাপ জিতে মাঠ ছাড়ল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দোল।