আবারও দল গঠনে পিছিয়ে পড়ছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এমনটা জানা গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকেই। নববর্ষের (Bangla Nababarsha) বার পুজো সেরে উৎকণ্ঠার কথা শোনা গেল লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের গলায়। কোচ সের্জিও লোবেরার (Sergio Lobera) সঙ্গে চুক্তি এখনও সই করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এখনও চিনের ক্লাব সিচুয়ান-এর থেকে এখনও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। সেই জন্যই কোচকে সই করানো যায়নি তাঁকে। আর তার জেরেই আটকে রয়েছে দল গঠনের কাজ।
আসলে যে দলে যে ফুটবলার গত মরশুমে ভালো খেলেছেন তাঁর সঙ্গেই বেশ কয়েক বছরের চুক্তি সেরে রেখেছে সেই ক্লাব। নতুন করে ভারতীয় ফুটবোলার পেতে তাই সমস্যা হচ্ছে লাল-হলুদের। নববর্ষের দিনে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এখন যা পরিস্থিতি তাতে ভালো মানের ভারতীয় ফুটবলার ট্রান্সফার ফি দিয়ে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তাই কোচ যাদের বলবেন তাদের সঙ্গেই কথা বলব আমরা। কোচ ঠিক না হওয়ায়, সেটাও করা যাচ্ছে না।' ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে। গত তিন বছর ধরেই শেষ মুহূর্তে দল গড়ে সমস্যায় পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। এবারেও কী একই সমস্যার সামনে পড়তে হবে লাল-হলুদ ক্লাবকে?
আরও পড়ুন: ভারতীয় স্ট্রাইকারদের সুযোগ দিতে বড় পদক্ষেপ AIFF-এর, নিষিদ্ধ বিদেশিরা
দিন পনেরোর মধ্যে কোচ ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। মনে করা হয়েছিল, নববর্ষের দিনেই কোচের নাম ঘোষণা করে দেবে ক্লাব। তবে তা হয়নি এখনও নতুন কোচের নাম ঘোষণা করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। দেবব্রত সরকার বলেন, 'ওঁরা (ইমামি) আমাকে জানিয়েছিল, দিন পনেরোর মধ্যে কোচ চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তাই আমি জানিয়েছিলাম। ওঁরা যদি বলেন ২০ দিন লাগবে তবে আমি তাই বলব। যতক্ষণ কোচের সই না হচ্ছে, ততক্ষণ কিছুই বলা যাচ্ছে না।'
আরও পড়ুন: লোবেরাকেই পছন্দ, কিন্তু নববর্ষেও হল না সই; এবার কী করবে ইস্টবেঙ্গল?
নববর্ষের দিনে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের প্রথম পছন্দ লোবেরা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দও লোরেবাই। ওঁরা ব্যাপারটা দেখছেন। তবে আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।' একই কথা শোনা গেল দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, 'আমরা কথাবার্তা বলছি। গতকাল যে জায়গায় গোটা ব্যাপারটা ছিল, আজও সেই জায়গাতেই রয়েছে। কিছুই পরিবর্তন হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুত সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে।' সমস্যা মেটার আশা করলেও স্বস্তিতে বসে থাকতে রাজি নন দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, 'যতক্ষণ সই না হচ্ছে ততক্ষন কিছু বলতে পারছি না।'