ক্লাবের তরফ থেকে চুক্তিতে সই করার কোনও সম্মতিপত্র হাতে পাননি ইমামি কর্তারা। বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন ইমামি কর্তা আদিত্য আগারওয়াল। আজতক বাংলাকে ফোনে ইমামি কর্তা বলেন, ''ওরা যা বলছে ঠিক নয়। এখনও অবধি কোনও সম্মতিপত্র আমরা হাতে পাইনি।'' এই ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ ইমামি গোষ্ঠী। তা কর্তার কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। অনেকদিন ধরেই চুক্তি সই নিয়ে টাল বাহানা চলছে ইস্টবেঙ্গলে। কবে চুক্তি সই হবে? উদ্বেগ বাড়ছে লাল-হলুস সমর্থকদের মনে। অনেকেই ভেবেছিলেন এই সপ্তাহেই চুক্তি সই হয়ে গিয়ে দল গঠনের কাজে ঝাঁপাবেন কর্তারা কিন্তু কোথায় কী?
কিছুদিন আগেই চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে সম্মতির কথা জানিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ইমামি কর্তাদের এই বিষয় তাঁরা চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তা যে সত্যি নয়, তা বোঝা গেল ইমামি কর্তার কথাতেই। তবে কবে হবে সই, কবেই বা দল গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে? সে বিষয় স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি। বরং গোটা বিষয়টি আরও জটিলতার দিকে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, সোমবার রাতে চুক্তিপত্র লগ্নিকারীর দফতর থেকে ক্লাবে পৌছে গিয়েছিল। তারপর দ্রুত তা খতিয়ে দেখার পর চুড়ান্ত রূপায়নের জন্য লগ্নিকারীর দফতরে পৌছবে বলে আশা করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু বুধবার বিকেল পর্যন্ত তা ইমামির দফতরে পৌছয়নি। যেটুকু চুক্তিতে রাখা হয়েছে তা মেনে না নেওয়ার কারন নেই বলেই লগ্নিকারী সংস্থা মনে করছে। ফলে চুক্তির চুড়ান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন ক্লাবের কোর্টে।
অন্তত লগ্নিকারী পক্ষ সেই কথাই বলা হচ্ছে।”দেখুন সোমবার আমরা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর তা ক্লাব দেখে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে এমন কোনও খবর নেই। কবে পাঠাবে সেটা ক্লাব কর্তারাই বলতে পারবেন।” বলছেন ইমামি গ্রুপের কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল। অথচ দু'পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের পরে ইতিবাচক দিকেই সবকিছু এগোবে বলে মনে করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এটিকে মোহনবাগানেই থাকলেন কার্ল, ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে সুনীলদের ক্লাবে হীরা