দারুণ ছন্দে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কলকাতা লিগে কলকাতা পুলিশের ব্যারিকেড টপকে শীর্ষে চলে গেল লাল-হলুদ। ৩-০ গোলে জিতল তারা। দারুণ ফুটবলের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল মাঠে ফের দেখা গেল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। গোলের পেছনে দেখা গেল, 'তিলোত্তমার রক্ত চোখ, আঁধার রাতের মশাল হোক...' পোস্টার।
৩ মিনিটের মাথায় সুনীল বাথালার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। হীরা মন্ডলের ফ্রিকিক থেকে অনেকটা উচ্চতায় নিজেকে মেলে ধরে লুপ ইন হেডে গোল করে যান সুনীল। ডিফেন্স থেকে উঠে এসে তাঁর গোল এবারের কলকাতা লিগের অন্যতম সেরা তা বলাই যায়। ১০ মিনিটে মুশারফের হেড পোস্টে লেগে ফিরে না এলে তখনই ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। শ্যামল বেসরার পাস থেকে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন নাসিব। কলকাতা পুলিশের কৌশিকের দারুণ শট দুর্দান্ত দক্ষতায় সেভ করেন আদিত্য পাত্র।
৩৫ মিনিটে তন্ময় দাসের দূর পাল্লার শট দারুণভাবে গোলে ঢুকে যায়। ডান পায়ের শট দারুণভাবে গোলে ঢুকে যায়। প্রথমার্ধে ম্যাচ শেষ হয় হয় ২-০ গোলেই।
https://youtube.com/shorts/wzGDXdrUqpg?si=RaVEmBHnhDtsx5oW
দ্বিতীয়ার্ধে চোট পেয়ে উঠে যেতে হয় আজাদকে। তাঁর জায়গায় নামেন কুশ ছেত্রী। সুপার সিক্সে নামার আগে তাঁকে রেজিস্টার করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ৫৯ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন জেসিন টিকে। ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কুশ ছেত্রীকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। সেখান থেকে যদিও গোল করতে পারেননি জেসিন টিকে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন পুলিশ গোলকিপার।
৮৮ মিনিটে কলকাতা পুলিশের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন সায়ন বন্দোপাধ্যায়। জেসিন টিকে-র দেওয়া থ্রু বল ধরে সোজা বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন সায়ন। গোলকিপারকে টপকে বল জালে ঢুকিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের এই বাঙালি ফুটবলার। এটাই ছিল ইস্টবেঙ্গলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। ইতিমধ্যেই সুপার সিক্সে পৌঁছে গিয়েছে লাল-হলুদ।