ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। মঙ্গলবার যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে নর্থ ইস্ট বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন কিছু হাইল্যান্ডার সমর্থকরা। তাদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে লাল-হলুদ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই ব্যাপারে এবার তদন্তের কথা জানাল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
ঘটনাটা কী ঘটেছিল?
ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল নর্থ ইস্ট। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও আত্মঘাতি গোলে ব্যবধান কমায় কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যান নন্দাকুমার। টাইব্রেকারে ম্যাচ জেতে ইস্টবেঙ্গল। শেষদিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যুবভারতী। নর্থ-ইস্ট সমর্থকদের কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বেশকিছু বিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এর পাশাপাশি অভিযোগ করে ট্যুইট করেছে নর্থ-ইস্টও। সেই ট্যুইট দেখেই নড়েচড়ে বসে এআইএফএফ। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাজি প্রভাকরণ এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে ফেডারেশন তদন্ত করবে।
কী লিখেছেন সাজি?
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ট্যুইটারে লেখেন, ‘এমন খবর শুনে আমি মর্মাহত। বর্ণবিদ্বেষ মূলক কোনও মন্তব্য করলে ছাড় দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা এই ব্যাপারটাকে দেখছি। এই ধরনের প্রবণতা যতটা সম্ভব কমাতে হবে। তার জন্য যা যা করতে হয়, করতে হবে।‘
এমনিতেই এখনও হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। এর মধ্যে এমন ঘটনা সেখানেও ফের আশান্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে।
কী শাস্তি হতে পারে?
বিশ্বের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের সমর্থকরাই বিভিন্ন সময় এই অভিযোগে জড়িয়ে পাড়েছেন। শাস্তি হিসেবে ফাঁকা মাঠে খেলতে হয়েছে কয়েকটা ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রেও তাই হতে পারে। আবার ফেডারেশন সতর্ক করে ছেড়েও দিতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে প্রমাণের ওপর। এখন এআইএফএফ কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।