ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ আর্মি। লাল-হলুদের সিনিয়র দলের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্জ। ডুরান্ডে ভালো শুরু করতে পারলে ডার্বির আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে দুই বিদেশি ফুটবলার নিয়ে নামছে। দলে রয়েছেন মিডফিল্ডার সোল ক্রেসপো ও স্ট্রাইকার জাভিয়ার সিভেরিও টোরো। দলের ক্যাপ্টেন্সি করছেন হরমনজোত সিং খাবড়া। সুযোগ পেয়েছেন মন্ধার রাও দেশাই, নিশু কুমার। গোলে রয়েছেন প্রভসুকান সিং গিল। ডিফেন্সে লালচুংনুঙ্গা, খাবড়া, মন্দার রাও দেশাই, নিশু কুমার ও গুরসিমরাত সিং গিল। অর্থাৎ ৫ ডিফেন্ডার নিয়ে খেলছে লাল-হলুদ। গত ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছে ৫ গোল খেলেও বাংলাদেশের দলকে বেশ সমীহই করছেন কুয়াদ্রাত। প্রতিপক্ষকে দেখে নিয়ে আক্রমণে উঠে আসাই লক্ষ্য তাঁর।
দলে রয়েছেন চার মিডফিল্ডার। নাওরেম মহেশ সিং, নন্দাকুমার, গুইতে, সোল ক্রেসপো। আক্রমণে একাই থাকছেন জেভিয়ার সিভেরিও টোরো। ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে গেলে রণরীতিতে বদল আনতে পারেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তবে ম্যাচে শুরু থেকেই ৫-৪-১ এই ভাবেই নিজের দলকে সাজিয়েছেন কোচ।
বাংলাদেশের দল ৫ গোল খাওয়ায়, তাদের দুর্বল মনে করতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। আমি কাল ওদের খেলা দেখেছি। ওরা আক্রমণে উঠছিল। মোহনবাগানের গোলকিপার ভাল কিছু সেভ করেছে। না হলে ম্যা চের ফলাফল অন্যা রকম হতে পারত। তবে বাংলাদেশকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আমরা যথাসম্ভব ভাল খেলার চেষ্টা করব।‘ তিনি আরও বলেন, ‘আগের মরশুমে ক্লেটনের খেলা দেখেছি, আশা করছি এ বারের মরশুমে ওকে আরও ভাল ফর্মে দেখতে পাব।‘
দলের জুনিয়র ফুটবলারদেরও প্রশংসা করেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, ‘ওদের মধ্যে্ প্রতিভা আছে। ওরা আমাদের সিনিয়র দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছে। এবারে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলতে হবে।তরুণ প্রতিভাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সুযোগ দিতে হবে।‘
ইস্টবেঙ্গলের দল; প্রভসুকান সিং গিল, লালচুংনুঙ্গা, খাবড়া, মন্দার রাও দেশাই, নিশু কুমার ও গুরসিমরাত সিং গিল, নাওরেম মহেশ সিং, নন্দাকুমার, গুইতে, সোল ক্রেসপো, জাভিয়ার সিভেরিও টোরো