ছোট্ট একটা চোট পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সই করা নতুন বিদেশি ফেলিসিও ব্রাউন। তা নিয়েই আশঙ্কিত হয়ে পড়েন লাল-হলুদ সমর্থকরা। ব্রাউনের ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পান। গুরুতর না হলেও, একের পর এক ফুটবলার চোট পেয়ে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ভাবতে থাকেন, জামশেদপুর ম্যাচে কি তাঁকে পাওয়া যাবে?
তবে এই চোট নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই আপাতত। পরের ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে তাঁকে পাওয়া যাবে। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে তিনি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে কোচ, সমর্থকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত আশাবাদী ছিলেন তাঁকে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাওয়ার ব্যাপারে।
খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে খেলার জন্য তৈরি কোস্টারিকান স্ট্রাইকার ফেলিসিও ব্রাউন। তিনি নিজেই তাঁর চোটের কথা জানান ভক্তদের। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তাঁর চোটের জায়গার ফটো পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দেখা যায়, ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট লেগেছে তাঁর। চোটের জায়গায় মলম লাগানো রয়েছে। ফটোতে তিনি লেখেন, "একজন ফুটবল প্লেয়ারের জীবনের কঠিন কিছু মুহূর্ত, কিন্তু নো পেন, নো গেন"।
এই মরসুমেই এই বিদেশিকে দলে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপ জেতার পর ঢেলে দল সাজাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু একাধিক বিদেশির চোটের কারণে নতুন প্লেয়ারদের সই করানো হয়। ব্রাউনের চোটের খবর শুনে সমর্থকরা চিন্তায় পড়ে যান। এমনিতেই দল এখন ছন্দে ফিরেছে দীর্ঘদিন বাদে। তারপর আবার খেলোয়াড়রা চোটের কবলে পড়লে সেটা বেশ ভাববার বিষয়। যাই হোক, ব্রাউন নিজেই সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন এই ব্যাপারে। তাঁকে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে এই খবর শুনে খুশি সমর্থকরা।
চলতি আইএসএলে তিনি লাল-হলুদ জার্সি গায়ে তিন ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। যার মধ্যে একটা গোলও রয়েছে তাঁর নামের পাশে। কোস্টারিকান এই স্ট্রাইকারের জন্ম জার্মানিতে, কিন্তু তিনি খেলেন কোস্টারিকার হয়ে। উল্লেখ্য, জার্মানির অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২০ জাতীয় ফুটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।