ডার্বি (Kolkata Derby) জয়ের পর এবার ইস্টবেঙ্গলের সামনে খালিদ জামিলের জামশেদপুর। তবে কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে নামার আগে তারকা ফুটবলারকে পাচ্ছেন না লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন একাধিক ফুটবলার। জামশেদপুর ম্যচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত ফের তোপ দাগেন রেফারির বিরুদ্ধে। সেমিফাইনাল ম্যাচে পাঁচ বিদেশি নিয়ে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। মাঠের বাইরে থাকতে হবে বোরহা হেরেরাকে। কুয়াদ্রত বলেন, 'বোরহা কার্ড দেখায় সেমিফাইনালে খেলতে পারবে না। তবে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের কারণে কার্ড দেখতে হয়েছে ওকে। একটা ফাউলের জন্য তিন জনকে কার্ড দেখানোর কোনও যুক্তি আমি অন্তত পাচ্ছি না, তবে বাকিরা যারা আছে তাদের দিয়েই আমাদের জয় পেতে হবে। ফুটবল দলগত খেলা।'
সিনিয়র দলের সঙ্গে তরুণ ফুটবলারদের ভারসাম্য ইস্টবেঙ্গল দলের প্রধান অস্ত্র। শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চই কার্লেস কুয়াদ্রাতের কাছে বড় অস্ত্র। তরুণ ফুটবলারদের দারুণ ব্যবহার করছেন স্প্যানিশ কোচ। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে অভিষেক হয় বাঙালি ফুটবলার সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নন্দাকুমারের জায়গায় তিনি মাঠে নামেন। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামার আগে কার্লোস কুয়াদ্রাত বলেছেন, 'দলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুব দরকার। ইস্টবেঙ্গলে এটা ছিল না। এরআগে হয়ত মুম্বই বা বেঙ্গালুরুর মতো দলকে হারিয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে রেকর্ড মোটেই ভাল ছিল না। রক্ষণভাগও দুর্বল ছিল। এরজন্য পরিকল্পনা দরকার। ফুটবলারদের বলেছি কেন রক্ষণকে শক্তিশালী করতে হবে।'
বুধবারের ম্যাচটা মর্যাদার ম্যাচ হিসেবে দেখতেই পারেন খালিদ জামিল। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে ডাগ আউটে শেষ ম্যাচ ছিল সুপার কাপের ফাইনাল। সেই ম্যাচ জিততে না পারায় ও দলকে আই লিগ দিতে না পারায় দায়িত্ব ছাড়তে হয় খালিদকে। আবার সেই সুপার কাপের মঞ্চ, প্রতিপক্ষ পুরনো দল। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তাই সুপার কাপ জিততে মরিয়া খালিদ। সেটা কুয়াদ্রাতও ভালভাবেই জানেন। লাল-হলুদ কোচ বলেন, 'প্রতিপক্ষ কোচ সম্পর্কে লাল হলুদের হেডস্যার বলেন, 'খালিদ জামিল ভারতীয় ফুটবলে পরিচিত নাম। ওর প্রশিক্ষণে জামশেদপুর পর পর ম্যাচ জিতছে। তবে সেমিফাইনাল সব সময়ই কঠিন লড়াই। দুই দলই জয়ের জন্য খেলবে। বুধবারও একই হবে। আমাদের রক্ষণ ভাল। সুযোগ তৈরি করলেই হবে না একইসঙ্গে তা কাজে লাগাতে হবে। মানসিক ভাবে আমরা এখন অনেকটাই চাঙ্গা।'