এফসি কাপের জন্য আরও এক বিদেশি ফুটবলারকে নাকি সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এমনটাই জানিয়ে দিলেন ইমামি কর্তা। সামনের মরসুমে তাঁদের দলকে নিয়ে আরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি ইমামি কর্তাদের। সামনের বছর দলের বাজেট যে বাড়াচ্ছেন ইমামি কর্তারা সেটা স্পষ্ট। তবে ইমামিকে সাহায্য করার জন্য স্পন্সর আনছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা। সেই কারণে উত্তরবঙ্গেও যাচ্ছেন তাঁরা। এমনটাই সূত্রের খবর।
সামনের মরসুমের জন্য পুরোদমে দল সাজাচ্ছেন লাল হলুদ কর্তারা। এ দিন ইমামির কর্তা বিভাস জানান আসন্ন এএফসি কাপের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা এক ফুটবলারকে দলে নিয়েছেন। এই মরসুমে সুপার কাপ জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে। কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের হাতে পড়েই দলের ভোল পাল্টে গিয়েছে। যা দেখে বেজায় খুশি সমর্থকরা। লাল-হলুদ কর্তারাও চেষ্টা করছেন ইনভেস্টরকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে। নতুন তাঁরা স্পন্সর এনে দলের বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, রেলের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক একটি সংস্থাও নাকি অনেক টাকা দিতে সম্মত হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি আরও কয়েকটি স্পনসর এনে ফুটবল দলের বাজেট বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ক্লাব। কারণ মোহনবাগান-সহ আইএসএলের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দল বেশ বড় বাজেটের। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে ভাল মানের ফুটবলার সই করাতে হবে। আর এটা করতে গেলে যথাসাধ্য খরচও করতে হবে।
লাল-হলুদ হেড কোচ আগেই জানিয়েছেন আই লিগে খেলা দুই ভারতীয় ফুটবলারকে তাঁরা ইতিমধ্যেই দলে সই করিয়েছেন। বিদেশি খেলোয়াড় বাছাই করতে নেমেছে ম্যানেজমেন্ট। উল্লেখ্য, সামনের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। তাই ম্যানেজমেন্টের লক্ষ্য, শক্তিশালী দল গড়ে এশিয়ার মঞ্চে ভারতের মান রাখা। সামনের সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক রয়েছে কর্তাদের। ডিল ফাইনাল হলে, ইস্টবেঙ্গলে যে জোয়ার আসবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সমর্থকরাও অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন ম্যানেজমেন্ট কী কী চমক দেয় সেই দিকে।