এখনও ট্রান্সফার ফি নিয়ে সমস্যা। তার জেরেই আটকে রয়েছে গোলরক্ষক প্রভসুকান গিলের (Pravsukan Singh Gill) ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) আসা। ইস্টবেঙ্গল একজন ভালো মানের গোলরক্ষক খুঁজছিল। গিলের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গেলেও সমস্যা রয়েছে ট্রান্সফার ফি নিয়ে।
কেন ট্রান্সফার ফি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে?
গত মরশুমে গোলরক্ষক হিসেবে কনলজিৎ সিং ভালো খেললেও আরও এক ভালো গোলরক্ষককে সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। শুধুমাত্র একজন গোলরক্ষকের উপর নির্ভর করে নতুন মরশুমে এগোতে নারাজ লাল-হলুদ। কেরল ব্লাস্টার্সের গোলরক্ষককে অনেকদিম আগে থেকেই সই করাতে চাইছিল ইস্টবেঙ্গল। আই লিগে ভালো পারফরম্যান্সের পরে আইএসএলের দল কেরল ব্লাস্টার্সে সই করেছিলেন গিল। নতুন মরশুমে গোলরক্ষকের সমস্যা মেটাতে প্রথম থেকেই তৎপর লাল হলুদ রিক্রুটাররা। ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের সঙ্গে আগামী বছর অবধি চুক্তি রয়েছে কেরল ব্লাস্টার্সের। তাঁকে সই করাতে হলে ২ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
গিল ব্যক্তিগতভাবে রাজি হয়ে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে এই মরশুমে খেলার ব্যাপারে। তবে, ২ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দেওয়ার পর, হাতে খুব বেশি টাকা থাকবে না ইমামি ইস্টবেঙ্গলের। ডিফেন্ডার মন্দার রাও দেশাইকেও সই করিয়েছে লাল-হলুদ ক্লাব। এফসি গোয়া থেকে ইস্টবেঙ্গলে এসেছেন তিনি। সিনিয়র দল গঠনের ক্ষেত্রে ইমামি ইস্টবেঙ্গল সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন নিযুক্ত কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরামর্শ মেনেই দল গঠনের কাজে হাত লাগিয়েছেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা।
মোহনবাগান যখন একের পর এক ভালো ফুটবলার সই করিয়ে ট্রান্সফার মার্কেটে চমক দিচ্ছে ঠিক সেই সময়েই চাপে না পড়ে ভালো দল গড়ার দিকে নজর দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল রিক্রুটাররা। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে গিলকে পেতে হলে আরও বেশি টাকা খরচ করতেই হবে লাল-হলুদকে। ডিফেন্সের সমস্যা মেটাতে খাতায় কলমে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রীতম সিং, মহম্মদ রাকিব, উননিকৃষ্ণন, এডুইন ভান্সপালের মতো নতুন ফুটবলাদের পাশাপাশি, অভিজ্ঞ নিশু কুমার, হরমোনজ্যোৎ সিং খাবরা ও মন্দার রাও দেশাইকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
ইভানের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও তাঁকে ছেড়েই দিতে চাইছেন কার্লেস কুয়াদ্রাট। তবে তিনি ক্ষতিপুরনের জন্য যে পরিমান টাকা চাইছেন, তা দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে দুই পক্ষের। ইভানের সঙ্গে সমস্যা মিটে গেলে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডারকে সই করাতে পারে লাল-হলুদ।