ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সঙ্গে রহিম আলির (Rahim Ali) কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। তবে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে বা রহিমের ক্লাবের পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে জানানো হয়নি। সূত্রের খবর চেন্নাইয়েনের এই স্ট্রাইকারকে দলে নিতে হলে একটা শর্ত মানতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে।
কী শর্ত মানতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে?
চেন্নাইয়েন এফসি-র (Chennaiyin FC) দাবি ছিল, শুধু রহিম আলির ট্রান্সফার ফি দিলেই হবে না। কোনও এক ফুটবলারকেও ছাড়তে হবে চেন্নাইয়েনে। সেটা মেনে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে রহিমের ইস্টবেঙ্গলে আসা প্রায় নিশ্চিত। তবে কার জায়গায় রহিম আসছেন। অর্থাৎ কাকে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে দিচ্ছে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে নাওরেম মহেশ সিং (Naorem Mahesh Singh) ইস্টবেঙ্গলেই থাকছেন বলে সূত্রের খবর। গোলরক্ষকের ক্ষেত্রে কর্তাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন প্রভসুকান সিং গিল। তবে তাঁকে নিতে হলে বিরাট অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেই জন্যই এখন মহম্মদ নাওয়াজকে সই করানোর চেষ্টা করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যদিও কমলজিৎ হয়ত থাকছেন।
গোলরক্ষকের জন্য অমরিন্দারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। যদিও আরও কিছুটা সময় চাইছেন অমরিন্দার। তাই এই দু'জনের পাশাপাশি নওয়াজ সঙ্গেও কথাবার্তা বলে রাখছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। কোচ নিয়োগের আগেই ওড়িশা এফসি-র নন্দকুমার এবং চেন্নাইয়েন এফসি-র রাইটব্যাক এডুইন ভ্যান্সপালকে ক্লাব আগেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে। কুয়াদ্রাত এই দুই ফুটবলারের চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। বিশেষ করে নন্দকুমারের রিক্রুটে স্প্যানিশ কোচ দারুণ খুশি। এমনটাই খবর সূত্রের।
কোচ নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন সমস্যায় ছিল ইস্টবেঙ্গল। মৌখিক সম্মতি দিলেও লোবেরাকে সই করাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফের নতুন করে কোচ নিয়োগ করার চেষ্টা করতে থাকেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এই সময়ই কোচ হিসেবে উঠে আসে কুয়াদ্রাতের নাম। ফলে এবারেও দল গঠনের কাজে কিছুটা পিছিয়ে থেকে শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। দলের বাজেট কম হওয়ায় বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে ফুটবলারও নিতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। যদিও যাদের সঙ্গে তাঁরা কথাবার্তা চালাচ্ছেন, তাঁরা দলে এলে ইস্টবেঙ্গলকে পুরব ছন্দে দেখা যেতেই পারে।