ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পারেন জোথানপুইয়া। এমন টাই খরব সূত্রের। ওড়িশা এফসি ও পঞ্জাব এফসি-র অয়ার থেকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাবকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন জোথানপুইয়া। এমনটআই জানা যাচ্ছে। হায়দরাবাদ এফসিতে এই মরসুমে বেশ নজর কেড়েছেন এই মিডফিল্ডার। তবে তাঁকে নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। হায়দরাবাদের দল যে আর্থিক সমস্যায় রয়েছে তা সকলেরই জানা। তবে জোথানপুইয়া লাল-হলুদে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে সূত্রের খবর তিনি যোগ দিচ্ছেন কার্লেসের দলে।
এই মরসুমে গোল না পেলেও একটা অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে ভরসা দিতে পারেন জোথানপুইয়া। ফলে তাঁকে দলে নিতে পারলে দলের মাঝমাঠ আরও শক্তিশালী হবে তা বলাই যায়। এই মরসুমের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, ইস্টবেঙ্গল গোল করেছে অন্য দলগুলোর থেকে বেশি। কিন্তু সেই গোল ধরে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে লাল-হলুদের। সেই সমস্যা মেটাতে ভাল মানের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার যে দরকার তা ভাল ভাবেই জানেন ফ্যানরা ফলে এই ডিল যদি ফলপ্রসূ হয় তবে খুশি হবেন ফ্যানরা।
এই মুহূর্তে ভাল জায়গায় রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পরপর দুই ম্যাচ জিতে প্লে অফের আশা জিইয়ে রেখেছেন ক্লেইটন সিলভারা। তবে শেষ ম্যাচ জিতলেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির দিকে। ইতিমধ্যেই সুপার সিক্সের লড়াই থেকে বাদ পড়েছে বেঙ্গালুরু এফসি, জামশেদপুর এফসি। তবে ইস্টবেঙ্গলকে ভয় দেখাচ্ছে চেন্নাইয়েন এফসি-র ফর্ম। তারা পয়েন্ট নষ্ট না করলে সমস্যায় পড়তে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
এই মরসুমে লাল-হলুদ প্লে অফে পৌঁছতে পারলে তা বিরাট একটা কৃতিত্ব হবে কার্লেসের কাছে। কারণ এর আগে অনো মরসুমেই শেষ ছয়ে পৌঁছতে পারেনি লাল-হলুদ। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন করে এমনিতেই নিজের জায়গা পরের মরসুমের জন্য পাকা করেছেন স্প্যানিশ কোচ। ঠিক তেমনই মক্ষম সময়ে নিজের স্ট্র্যাটেজি বদল করে ছমকে দিয়েছেন বিপক্ষকে। পরের মরসুমে তিনি কাদের সই করান তার দিকেও নজর থাকছে লাল-হলুদ জনতার।