এফসি গোয়ার (FC Goa) বিরুদ্ধে আগামীকাল খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সেই ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে লাল-হলুদ। এখান থেকে সমস্ত ম্যাচ জিততে পারলেই প্লে অফে যেতে পারবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। সেই ম্যাচে খেলার জন্য প্রস্তুত সউল ক্রেসপো (Saul Crespo)। নির্বাসন কাটিয়ে ফিরতে চলেছেন হিজাজি মাহেরও। তবে আশঙ্কার জায়গা একটাই। অনুশীলনে নামেননি নন্দাকুমার (Nanda Kumar)। মাঠের বাইরে ফিটনেস ট্রেনিং করতে দেখা যায় তাঁকে।
গোড়ালির চোট রয়েছে নন্দার
এই মরসুমে ইতিমধ্যেই পাঁচ গোল করে ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন নন্দা। কার্লেস বলেন, 'চোটের কারণেই ওড়িশা ম্যাচে ওদের শুরু থেকে খেলাইনি। নন্দর গোড়ালিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’শেষ পাঁচ ম্যাচে এফসি গোয়া জিততে না পারলেও তা নিয়ে ভাবতে নারাজ লাল-হলুদ কোচ। তিনি বলেন, 'ফুটবলে এ রকম হতেই পারে।'
ফিরতে পারেন ক্রেসপো
সউল ক্রেসপো প্রথম লেগের ডার্বির ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন। তারপর তাঁকে চিকিৎসার জন্য স্পেনে যেতে হয়। এরপর সুস্থ হয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে হেরে চাপে পড়ে গিয়েছে লাল-হলুদ। সদ্য চোট কাটিয়ে ওঠা সউলকে কি নামানো হবে এফসি গোয়া ম্যাচে? সেটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থাকছে। গোয়া ম্যাচের চারদিন পরেই ডার্বি ম্যাচও হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে তাঁকে সেই ম্যাচের আগে ক্রেসপোকে খেলাতে পারবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। সেটাই বড় প্রশ্ন। এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচও। তিনি বলেন, ‘ডার্বির কথা ভেবে ফুটবলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর মতো পরিস্থিতি নেই। আমাকে পূর্ণশক্তি নিয়েই জয়ের জন্য ঝাঁপাতে হবে।’
অনেক ম্যাচ পরে ছয় বিদেশিকে মাঠে নামানোর সুযোগ পাওয়ায় আশার আলো দেখছেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দিন পরে আমরা ছয় বিদেশিকেই দলে পাচ্ছি।’ যদিও তিনি মনে করেন গোয়ার কাছে হারলেও প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন শেষ হবে না। বলেন, ‘এখনও ১৫ পয়েন্টের খেলা বাকি আছে। গোয়া ম্যাচের পরেও ১২ পয়েন্ট থাকবে। আমার মনে হয় না সুপার সিক্সের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। তবে শেষ পাঁচটা ম্যাচে সেরাটা দিতে হবে।’ কোচের পাশে বসে হিজাজি বললেন, ‘কোচ আমার উপরে আস্থা রাখায় খুশি। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামি।’