এগিয়ে গিয়েও ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। জামশেদপুরের (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জেতার মতো খেলতে পারেনি কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। অন্তত প্রথমার্ধে তো নয়ই। প্রথম ৪৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল গোল পেয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়ার মতো ঘটনা কম ঘটেনি। তবে শেষে মানজোরর গোলে হেরেই গেল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ফল ২-১।
প্রথমার্ধ জুড়ে আধিপত্য ছিল জামশেদপুরের। তবে গোলটা করে যায় ইস্টবেঙ্গলই। ১৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল যখন প্রথম সুযোগ পেল, ততক্ষণে খালিদ জামিলের দল একবার পোস্টে বল লাগিয়ে ফেলেছে। গোলের সুযোগ তৈরি করেছে ৫-৬টা। ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়ে গিয়েছে তারা। প্রথমার্ধে ৩টে শট গোলে রেখেছিল জামশেদপুর। ইমরান তো পেনাল্টিও পেতে পারতেন। হিজাজি মেহের তাঁকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফেলে দেন। রেফারি দেখেননি।
প্রথমার্ধের শেষদিকে জামশেদপুরের ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করে যান নন্দাকুমার। তাঁর শট জামশেদপুরের গোলকিপার টিপি রেহেনেশের দুই পায়ের ফাঁকা দিয়ে গলিয়ে গোল করে যান নন্দা। তবে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলকে যে গোল খেতে হয়নি তার জন্য নতুন আসা প্যাটিচকে কৃতিত্ব দিতেই হবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। পাশাপাশি গোলরক্ষক প্রভসুকান সিং গিলেরও প্রশংসা করবে তারা। যেভাবে ড্যানিয়েল চিমা চুকু আর সিভেরিও টোরো যেভাবে আক্রমণ করে গিয়েছেন তা থেকে গোল না পাওয়াই দুর্ভাগ্যের। দুই স্ট্রাইকারকে বল জুগিয়ে গিয়েছেন ইমরান ও সরন। ব্লকিং-এর কাজটা করে গিয়েছেন প্রভাত লাকড়ারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যদিও একেবারে অন্য ছন্দে ইস্টবেঙ্গল। গোল পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর লাল-হলুদ বেশকিছু সুযোগ তৈরি করে। সেই সময় কিছুটা ওপেন ফুটবল হতে থাকায় দুই দলই সুযোগ তৈরি করে। গোল সংখ্যা যে বাড়াতে হবে তা বুঝেই বিষ্ণু নামিয়ে দেন কুয়াদ্রাত। তাঁর হেড বারে লাগে। তবে সুপার সাব হয়ে ওঠেন রেকা চিকাওয়া। তাঁর ডাইভিং হেডারে গোল পেয়ে যায় জামশেদপুর।
তবে ইস্টবেঙ্গলের ১ পয়েন্ট পাওয়ার আশাও শেষ হয়ে যায় নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে ড্যানিয়েল চিমা চুকু দারুণ জায়গায় দলকে ফ্রিকিক পাইতে দেওয়ায়। ফ্রিকিক থেকে গোল করে যান জেরেমি মানজোরো। পরপর দুই ম্যাচে দুইবার ফ্রিকিক থেকে গোল করে নজির গড়ে ফেললেন তিনি। এই জয়ের ফলে প্রথম ছয়ে চলে এল খালিদ জামিলের দল।