এবারের আইএসএল-এর আগে সবচেয়ে বেশিদিন অনুশীলন করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে তাতে ফল আসল না এখনও। রবিবার কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ১ গোলে এগিয়েও ২-১ গোলে হারতে হল লাল-হলুদকে। দুই ম্যাচ খেলে ০ পয়েন্ট। এবারেই আইএসএল-এ প্রথমবার খেলা মহমেডান স্পোর্টিং-ও ১ পয়েন্ট পেয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সেটাও পেল না।
হিমিনেজের শট বারে লেগে ফেরত আসে, একবার রাহুল কেপি সহজ সুযোগ পেয়েও মিস করেন। এ ছাড়া প্রথমার্ধে বলার মতো কোনও আক্রমণ করতে পারেনি কেরল ব্লাস্টার্স। ডানদিক থেকে বারেবারে রাহুল কেপি বিপদ তৈরি করলেও সেখান থেকে গোল আসার মতো পরিস্থিতি একেবারেই ছিল না। উল্টো দিকে ইস্টবেঙ্গল বেশ কিছু সুযোগ পেলেও গোলকিপার সচিন সুরেশের দক্ষতায় গোল খেতে হয়নি কেরালার দলকে। ডানদিক থেকে মার্ক জোথানপুইয়া ও নাওরেম মহেশ সিং বারবার আক্রমণে উঠে এলেও, নন্দাকুমারকে দেখে একেবারেই ফিট বলে মনে হয়নি। আনোয়ার আলি এসে যাওয়ায় ডিফেন্সের সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে গোলকিপার প্রভসুকান গিলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে সমর্থকদের মনে।
দ্বিতীয়ার্ধে সহজ সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি ডিমানটাকোস। এর মধ্যেই আবার সবচেয়ে ভাল খেলা মহেশকে তুলে নেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর জায়গায় নামা পিভি বিষ্ণু ৬০ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন। সন্দীপের ভুল থেকে বল পান নন্দাকুমার। পাস দেন ডিমানটাকোসকে। দারুণ রান করেন বিষ্ণু। কেরলের ঘরের ছেলেকে দিয়েই গোল করান কেরলের প্রাক্তন স্ট্রাইকার। ফের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ডিমানটাকোস। তবে তিনি সচিনকে একা পেয়েও দ্বিতীয় পোস্টে বল রাখতে পারেননি।
যদিও ইস্টবেঙ্গলের সেলিব্রেশন বেশি সময় স্থায়ী হয়নি নোয়া সাদোইয়ের জন্য। ইনসাইড, আউটসাইড করে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ঢুকে বাঁ পায়ে দুরন্ত ফিনিস। প্রভসুকান গিলের পায়ের ফাঁকা দিয়ে গোল করে যান। এরপর পেপ্রা নামার পর ঝাঁজ বাড়ে কেরলের। তিনিই দলে এগিয়ে দেন দারুণ গোল করে। ক্যাপ্টেন সল ক্রেসপো মারাত্মক ভুল করে বসেন। সেখান থেকেই গোল খেয়ে যেতে হয় লাল-হলুদকে।
এক্ষেত্রেও গিলের ভুল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ, তিনি সেই সময় যেখানে ছিলেন সেখানে বোধহয় কোনও গোলকিপারের থাকার কোথা নয়। পিছিয়ে পরেও বাকি সময়টা ডিফেন্ড করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। একেবারে সাধারণ মানের ফুটবল আর অবাক করা স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এবারেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে।