মহমেডান স্পোর্টিং-এর (Mohammedan Sporting) বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করে কলকাতা লিগ (Kolkata League) জয়ের থেকে কিছুটা দূরে চলে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। তবে বিনো জর্জের (Bino George) ছেলেরা দুইবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করে। দারুণ ফুটবল উপহার দেয় মহমেডানও। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবারে লড়াইয়ে না থাকলেও শুক্রবার নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে লাল-হলুদের সামনে কড়া টক্কর ছুড়ে দেয় মহমেডান। আর তার জেরেই দুইবার এগিয়েও যায়। তবে সেখান থেকে জয় তুলে নিতে পারেনি তারা।
শুরুতেই এগিয়ে যায় মহমেডান
বামিয়া সামাদের গোলে ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় মহমেডান স্পোটিং। মহমেডানের জোসেফ দারুণ পাস দেন হীরা মন্ডলের মাথার উপর দিয়ে। সেখান থেকে গোল দেন বামিয়া। তন্ময় ও পিভি বিষ্ণু দুই ফুটবলারকেই আজ খেলতে দেননি মহমেডান ফুটবলাররা। মূলত অ্যাটাকিং থার্ডে ও ডিফেন্সিভ থার্ডে বল ধরলেই ট্যাকেল করছিলেন সাদা-কালো ফুটবলাররা। যদিও প্রথমার্ধেই জেসিন গোল শোধ করেন। পিভি বিষ্ণুর দেওয়া বল তন্ময় ধরে শট করেন তবে সেই শট বাইরে চলে যাচ্ছিল। সেই সময় বিষ্ণু পায়ে লাগিয়ে বল জালে জড়ান।
৫১ মিনিটে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে দেন রবিনসন। পেনাল্টি বক্সের কিছুটা দূর থেকে দারুণ শটে গোল করে যান তিনি। ৭৬ মিনিটে গোল শোধ করেন জেসিন। ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। নাসিবের থ্রু বল থেকে এগিয়ে আসা মহমেডান গোলকিপার শুভদীপকে বোকা বানিয়ে গোল করে যান তিনি।
এই ম্যাচ জিতলে ইস্টবেঙ্গলকে বাকি দুই ম্যাচে একটা ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত ইস্টবেঙ্গল। তবে এই ম্যাচ ড্র হওয়ায়, পরের দুই ম্যাচ অর্থাৎ ভবানীপুর এফসি ও ডায়মন্ডহারবার এফসি-র মধ্যে যে কোনও একটি দলের বিরুদ্ধে জয় পেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে লাল-হলুদ ক্লাব। তবে সেই দুই ম্যাচ জেতা বেশ কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।