ডার্বি ম্যাচে রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan), ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দুই দলই। দুই দলেরই বক্তব্য ছিল, রেফারি সঠিক সিদ্ধান্ত দিলে ম্যাচটা জিততেন তাঁরাই। তবে তা হয়নি। আর এবার নর্থইস্টের বিরুদ্ধেও চিন্তা যাচ্ছে না কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat)। গুয়াহাটি উড়ে যাওয়ার আগে লাল-হলুদ কোচ যদিও জানিয়ে গেলেন, তাঁরা তিন পয়েন্ট তুলে নিতেই মাঠে নামবেন।
২০১৬ সাল থেকে ভারতে কোচিং করানো কুয়াদ্রাত মনে করেন, ভারতীয় ফুটবল একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে। বলেন, '২০১৬ সাল থেকে কোচিং করাচ্ছি ভারতীয় ফুটবলে। কিন্তু পুরনো রোগ এখনও সারল না। আমি দেখেছি, কোনও টিম পিছিয়ে পড়লে সেই টিমকে ম্য়াচে ফেরানোর চেষ্টা করেন রেফারি। আমাদের এমন হলে কিন্তু রেফারি ঠিক বাঁশি বাজিয়ে দিত। শুধু মোহনবাগান কেন, সব টিমের ক্ষেত্রেই এমন হত। যদি জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খেলতাম, তা হলেও তাই করত রেফারি। এখানকার রেফারিরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা না বদলালে কিন্তু উন্নতি হবে না ভারতীয় ফুটবলের।’
এখানেই থেমে না থেকে কুয়াদ্রাত মনে করেন, রেফারিরা ভারতের ভবিষ্যতের তারকাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ। তিনি বলেন, 'বড় ম্যাচে মহেশকে রেফারি রক্ষা করতে পারেননি। ওকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। ঠিক একইভাবে সাহালকেও রেফারি রক্ষা করতে পারলে, তাঁকে চোটের জন্য অতদিন ভারতীয় দল থেকে বাইরে থাকতে হত না। ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে মহেশ, সাহালদের রক্ষা করা উচিত।'
সুপার কাপ জেতার পরও দারুণ ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর প্রথম ডার্বিতে এগিয়ে থেকেও ২-২ গোলে ড্র করেছে লাল-হলুদ। তবে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে বিরাট ধাক্কা খেল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ডার্বি ম্যাচে চোট পাওয়ায় ছিটকে গেলেন সউল ক্রেসপো। প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে লাল-হলুদের তারকা মিডফিল্ডার। তবে ম্যাচের আগে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আশঙ্কায় থাকছে ইস্টবেঙ্গল। সেটা আরও একবার জানিয়ে দিলেন কুয়াদ্রাত।