প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও দারুণভাবে ফিরে এসেছে তারা। নন্দাকুমারের গোলে কিছুটা অক্সিজেন পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৬৭ মিনিটে টমি জুরিচের গোলে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নেয় নর্থইস্ট।
এসেই গোল ফেলিসিওর
অভিষেক ম্যাচেই গোল ফেলিসিওর। তবুও ৩-২ গোলে পিছিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
বিশ্বমানের গোল
আবারও ব্যবধান বাড়াল নর্থ ইস্ট। বিশ্বমানের গোল করেন টমি জুরিচ। প্রথম পোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা প্রভসুকান গিল সুযোগই পাননি।
ব্যবধান কমাল ইস্টবেঙ্গল
৫১ মিনিটে নন্দাকুমারের গোলে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটন সিলভার দারুণ পাস থেকে জোরাল শটে গোল করে যান তিনি।
৪৭ মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। অল্পের জন্য সেখান থেকে রক্ষা পায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আশির আখতার প্রায় নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন। মিরশাদ কোনওমতে হাত লাগিয়ে বল বাইরে বের করেন।
নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে সায়ন বন্দোপাধ্যায়কে শুরু থেকেই নামিয়ে দিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তবে তাঁর ভুল থেকেই প্রথম গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নেস্টরের ক্রস থেকে গোল করে যান টমি জুরিচ।
৫ মিনিটের মধ্যেই পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। সায়নের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে জিতিন দারুণভাবে এগিয়ে যান বাঁ দিক থেকে ভেতরের দিকে ঢুকে এলেও নেস্টরের কাছে পাস করে দেন। তিনি বাঁদিক থেকে কিছুটা উঠে ক্রস করেন। পেছন থেকে ফাঁকায় উঠে আসা জুরিচ মিট করে সহজেই গোল করে যান। ১০ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। এবার গোল করেন নেস্টর। কাউন্টার অ্যাটাকে এই গোলটি হয়। দারুণ একটা রান নেয় নেস্টর। জিথিন বলটি রিডিমকে দেন, তারপর বলটি অসাধারণ ফিনিশ করেন নেস্টর।
৩২ মিনিটে সায়নের কাছ থেকেই প্রথম অ্যাটাক আসে। তাঁর শট বাঁচান মির্শাদ। ডান দিক থেকে তিনি বাঁদিকে আসতেই নিজের ছন্দে ফেরেন সায়ন। প্রথমার্ধের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গল খেলায় ফিরতে শুরু করে বল পজেশন রেখে নর্থইস্ট ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করতে থাকেন সায়ন, অজয় ছেত্রী, নাওরেম মহেশরা। তবে প্রথমার্ধে ব্যবধান কমাতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। উল্টে সুযোগ পেলেই আক্রমণে উঠে এসেছেন জিতিন এমএস।