ডার্বি জেতার পর এবার কলকাতা লিগেও জয় পেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। পুলিশ এসি-র বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় পেল বিনো জর্জের ছেলেরা। ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল খেয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শেষদিকে যদিও ইস্টবেঙ্গলকে জয় এনে দেন সুপার সাব পিভি বিষ্ণু।
শুরু থেকেই আক্রমণে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। সাত মিনিটেই আক্রমণ তুলে এনেছিলেন তন্ময় দাস। তাঁর হেড দারুণভাবে বাঁচান পুলিশ গোলরক্ষক শুভঙ্কর ঘোষ। ১৫ মিনিটেই গোল তুলে নেয় লাল-হলুদ। জেসিন টিকের দুর্দান্ত থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে যান অভিষেক কুঞ্জম। বল ধরে শুভঙ্করকে একা পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়ান অভিষেক। প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেগলের সামনে। গুনান্দ সিং সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। ৩২ মিনিটে আবারও অভিষেক গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে সেখান থেকেও গোল হয়নি। ইনস্টেপ ব্যবহার করতে গিয়ে বল পায়ে জড়িয়ে ফেলেন তিনি।
প্রথমার্ধের শেষদিকে ধীরে ধীরে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে থাকে পুলিশ এসি। প্রথমার্ধে সমতা ফেরাতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭ মিনিটে লাল-হলুদের জালে বল জড়িয়ে দেন গুরনেজ সিং। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান আফিফ খান। সোল টার্নে বল কাটিয়ে ক্রস করেন তিনি। সুযোগ সন্ধানী গুরনেজ দেহের ভারসাম্য কোনওমতে ঠিক রেখে বল জালে জড়ান।
চোটের জন্য ইস্টবেঙ্গল খেলাতে পারেনি কুশ ছেত্রীকে। মাঝমাঠের দখল প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের কাছে থাকলেও সময় বাড়তেই পুলিশ খেলাটা ধরে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার পর, মাঝমাঠে ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক পাস ইন্টারসেপ্ট করে নিতে থাকেন পুলিশ ফুটবলাররা। ফলে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে পারছিল না লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করা অভিষেককে তুলে নেন বিনো জর্জ। শেষদিকে মাঠে নামেন সুমন দে। নেমেই দারুণ একটা শট নেন তিনি। তবে তা সোজা শুভঙ্করের হাতে চলে যায়।
ম্যাচের একেবারে শেষদিকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন বিষ্ণু পিভি। অভিষেকের জায়গায় নামা বিষ্ণু দারুণ ভাবে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন চতুর্থ রেফারি।