ডার্বির আগে মোহনবাগানের মতো জয় পেল ইস্টবেঙ্গলও। মোহনবাগান শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হল না। শুরু থেকেই দাপট দেখাল লাল-হলুদ। শেষ অবধি ২-১ গোলে জিতে গেল ইস্টবেঙ্গল।
প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। ভাল জায়গায় ফ্রিকিক পেয়ে যায় তাঁরা। নিশু কুমারের ফ্রি কিক থেকে মাথা ছুঁয়ে গোল করে যান হিজাজি মেহের। দারুণ জায়গায় হেডটা রেখেছিলেন তিনি। গোলকিপার আরিয়ান লাম্বার প্রায় কিছুই করার ছিল না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হল আর বল জালে ঢুকে যাওয়ায় ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপরেই গোল করেন সিভেরিও। তিনি গোল পাচ্ছিলেন না বলে অনেক সমালোচনা চলছিল। তবে এদিন গোল পেয়ে গেলেন তিনি। ৩১ মিনিটে ক্যাপ্টেন ক্লেইটন সিলভার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া গড়ে তোলেন সিভেরিও। হিজাজির লম্বা বল হেড করে নামান ক্লেইটন। বল গিয়ে পড়ে সিভেরিওর পায়ে। গোলকিপার এগিয়ে থাকায় দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে যান তিনি।
তবে ডানদিক থেকে কিন লুইস বারেবারে সমস্যা তৈরি করছিলেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে। ৪৩ মিনিটে যদিও গোল পেয়ে গিয়েছিল শ্রীনিধি। বিতর্কিত অফ সাইড সিদ্ধান্তে তা বাতিল হয়ে যায়। ডান দিক থেকে লুইসের ক্রস হেডে গোলে পাঠান কাস্টনোভা। তবে সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের জন্য।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ভাল ফুটবল খেলতে দেখা যায় শ্রীনিধিকে। যদিও গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গলও। তবে একেবারে শেষদিকে লাল-হলুদকে রীতিমত চেপে ধরে শ্রীনিধি। সেখান থেকেই গোল করে ব্যবধান কমায় হায়দরাবাদের ক্লাব।পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান শ্রীনিধির উইলিয়াম ডি অলিভেরার। গিল পেনাল্টি থেকে কিছুই করতে পারেননি।
প্রথমবার লাল হলুদ জার্সিতে মাঠে নামলেন অজয় ছেত্রী। বেঙ্গালুরু এফসি থেকে লোনে ইস্টবেঙ্গলে আসা অজয় পুরো নব্বই মিনিট নজরকাড়া ফুটবল উপহার দিয়েছেন বলা যাবে না।