একে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ম্যাচে হার তার উপর আরও চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের। এরপরের ম্যাচ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে ক্লেইটন সিলভাকে পাচ্ছে না লাল-হলুদ। চারটে হলুদ কার্ড দেখে ফেলায় পরের মাচে নেই তিনি। দল যখন প্রথমার্ধেই ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে সেই সময়ই রেফারির উপর মাথা গরম করে ফেলেন ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন। সহকারী রেফারিকে কিছু একটা বলতে যান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। আর তাতেই হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। সেই কারণেই পরের ম্যাচে নেই ক্লেইটন।
৫ মিনিটের মধ্যেই পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। সায়নের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে জিতিন দারুণভাবে এগিয়ে যান বাঁ দিক থেকে ভেতরের দিকে ঢুকে এলেও নেস্টরের কাছে পাস করে দেন। তিনি বাঁদিক থেকে কিছুটা উঠে ক্রস করেন। পেছন থেকে ফাঁকায় উঠে আসা জুরিচ মিট করে সহজেই গোল করে যান। ১০ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। এবার গোল করেন নেস্টর। কাউন্টার অ্যাটাকে এই গোলটি হয়। দারুণ একটা রান নেয় নেস্টর। জিথিন বলটি রিডিমকে দেন, তারপর বলটি অসাধারণ ফিনিশ করেন নেস্টর।
৩২ মিনিটে সায়নের কাছ থেকেই প্রথম অ্যাটাক আসে। তাঁর শট বাঁচান মির্শাদ। ডান দিক থেকে তিনি বাঁদিকে আসতেই নিজের ছন্দে ফেরেন সায়ন। প্রথমার্ধের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গল খেলায় ফিরতে শুরু করে বল পজেশন রেখে নর্থইস্ট ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করতে থাকেন সায়ন, অজয় ছেত্রী, নাওরেম মহেশরা। তবে প্রথমার্ধে ব্যবধান কমাতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। উল্টে সুযোগ পেলেই আক্রমণে উঠে এসেছেন জিতিন এমএসরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ যদিও আরও জমে ওঠে। শুরুতে নন্দাকুমার গোল করে ব্যবধান কমিয়ে দিলেও শেষরক্ষা হয়নি। নেস্টর ফের দারুণ দক্ষতায় গোল করে যান। শেষদিকে প্রথম খেলতে নামা ফেলিসিও ব্রাউন গোল করে ফের ব্যবধান কমালেও ম্যাচ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। ১১ ম্যাচ পর প্রথম হার লাল-হলুদের। ৪-৩ গোলে ম্যাচ হেরে যেতে হল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলকে।