একের পর এক সুযোগ নষ্ট। আর তার জেরে কলকাতা লিগের (Kolkata League 2023) প্রথম ম্যাচে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে (Emami East Bengal)। বৃহস্পতিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে রেনবোর বিরুদ্ধে ০-০ গোলে শেষ হল ম্যাচ।
প্রথম হাফেই ধাক্কা খেতে হয় লাল-হলুদকে। গুরুতর চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয়, গোলরক্ষক আদিত্য পাত্রকে। ঘাড়ে চোট এতটাই গুরুতর যে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হয় মাঠের মধ্যে। সেই অ্যাম্বুলেন্স করে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তবে আদিত্য বেরিয়ে গেলেও গোল খেতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। প্রায় দেড় হাজার লাল-হলুদ সদস্যা-সমর্থক মাঠে এসেছিলেন নিজেদের প্রিয় দলের জয় দেখতে। কিন্তু তা আর হল কোথায়? জয় তো দূরের কথা, বাজে ফুটবল খেলে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। ভাগ্য ভালো হেরে যেতে হয়নি বিনো জর্জের ছেলেদের। হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হল সমর্থকদের।
ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে কোনও বোঝাপড়া নেই। মাঝমাঠে একমাত্র তারকা কুশ ছেত্রী। আক্রমণ ভাগেও দক্ষতার অভাব স্পষ্ট। উদ্দেশ্যহীন ফুটবল খেললে যা হওয়ার তাই হয়েছে। মাঝেমধ্যেই নিজেদের বিপদ বাড়িয়েছে লাল-হলুদ। সেখান থেকে গোল খেয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তবে ইস্টবেঙ্গলও যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু গোল করার লোক কৈ? সেটাই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। মোহনবাগান তো বটেই, মহামেডান স্পোর্টিং-ও দারুণ ছন্দে থেকে শুরু করেছে। সাত গোল দিয়েছে প্রথম ম্যাচেই। ইস্টবেঙ্গল যদিও কাজের কাজটা করতে পারল না।
কোচ বিনো জর্জ চেনা অজুহাতই দিতে দেখা গেল। সময়ের অভাবে দল ভাল ম্যাষচ প্র্যাটকটিসের সুযোগ পায়নি। বৃহস্পতিবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে রেনবোর সঙ্গে গোল শূন্যন ড্র করার পর ইস্টবেঙ্গল দলের কোচ বিনো জর্জের এটাই ছিল প্রথম প্রতিক্রিয়া। পরপর তিন বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে এক কথা। কর্তা থেকে শুরু করে কোচ সকলেই একই কথা বলে যাচ্ছেন।