বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এলেও অবশেষে বোর্ড মিটিং-এ বসতে চলেছেন ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সম্ভবত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে বোর্ড মিটিংয়ে বসতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। কোন কোন ব্যাপারে এই বোর্ড মিটিং-এ কথা হতে পারে? এই মিটিং দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তার কারণ, পরের মরশুমে কীভাবে দল গড়া হবে? কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কে? এই সমস্ত ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে।
কোন কোন বিষয় আলোচনা হতে পারে?
বিভিন্ন বিষয় এই সভায় আলোচনা হতে পারে। বাজেট বৃদ্ধি, কোস্পনসর এবং প্রাইম স্পনসর নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে প্লেয়ার নিয়োগ নিয়েও এজেন্টদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এ ছাড়াও পরের মরশুমের বাজেট, কোচ পরিবর্তন, দল গঠন, নতুন ফুটবল ডিরেক্টর নিয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে এই মিটিং নিয়েই বিতর্ক দানা বেধেছিল ইস্টবেঙ্গলে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে পরের মরশুমের দল গঠন নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছে। সেই প্রস্তাবে একাধিক ফুটবলারের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাদের কাছে। সেই তালিকার প্রাপ্তি প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছে ইমামি (Emami Group)। তবে বোর্ড মিটিং-এর তারিখ নিয়ে প্রেস বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal Club) পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: ডার্বিতে ফের মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল, কবে?
ইমামির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, 'বোর্ড মিটিং-এর জন্য সময় দিতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আর সেই জন্যই দেরি হচ্ছে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে। তবে আশা করা যায়, মার্চ মাসের শেষের দিকে ক্লাব কর্তারা সময় দিতে পারবেন। এবং মিটিং-এ বসতে পারবেন।' যদিও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দাবি একেবারে ভিন্ন। তাদের দাবি, ডিসেম্বর মাসে দলের খারাপ পারফরম্যান্স দেখে বোর্ড মিটিং ডাকার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও সভা ডাকা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, 'আমরা গত ডিসেম্বর মাসে চিঠি দিয়েছিলাম বসার জন্য। তবে এখনও সেই চিঠির উত্তর আমরা পাইনি। আমরা জানিয়েছিলাম দ্রুত বোর্ড মিটিং ডাকা দরকার দলের পারফরম্যান্স খারাপ। দ্রত দুট-তিনটে জায়গায় যদি পরিবর্তন আনা যায় তা হলে হয়ত আমরা একটু ভাল জায়গায় যেতে পারি। সেই চিঠির উত্তর এখনও পাইনি।'
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ড্র, প্রীতমদের ওপর রেগে লাল জুয়ান
পাল্টা দেন দেবব্রত সরকারও। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকোর্তা বলেন, 'কয়েকদিন আগে আমরা বসেছিলাম। সেই সময় আমাদের বলা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে মিটিং করার জন্য। আমরা বললাম, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব বলে ঠিক করেছি। ১৯ তারিখের পর যে কোনও দিন মিটিং করা যেতে পারে। তারপরেও যদি ওনারা বলে থাকেন আমাদের কাছ থেকে মিটিং-এর তারিখ পাননি তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।'' ১৭ দিন কেটে গিয়েছে। এতদিন পরও বোর্ড মিটিং-এর দিন ঠিক করতে না পেরে পরোক্ষে ক্লাবের ওপর দায় চাপাচ্ছেন ইমামি কর্তারা। এমনটাই দাবি ক্লাব কর্তাদের।