দারুণ ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) রিজার্ভ দল। কলকাতা লিগে (Kolkata League) শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সের জায়গা পাকা করে নিয়েছে। তারা। সেই কারণেই এবার রিজার্ভ দল থেকে তিন ফুটবলরকে সিনিয়র দলে রেজিস্ট্রেশন করলো লাল-হলুদ।
তিন ফুটবলার সই করাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল
সিনিয়র দলও অন্য তিন মরশুমের তুলনায় বেশ ভালো ছন্দে রয়েছে। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হেরে গেলেও, মরশুমের প্রথম টুর্নামেন্টে নিজেদের দক্ষতার প্ৰমাণ দিয়েছেন সিভেরিওরা। তবে সমস্যা ছিল কিছু জায়গায়। এর জেরেই ফাইনালে উঠেও হারতে হয় লাল-হলুদকে। সেই খামতি ঢাকতে নতুন ফুটবলার নেওয়া দরকার ছিল। তবে অন্য কোনও ক্লাব থেকে ফুটবলার নেওয়া নয়, ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চেয়েছিলেন রিজার্ভ দল থেকেই ফুটবলারদের বেছে নিতে। সেই কারণেই তিন ফুটবলারকে সই করলো তারা। এর মধ্যে রয়েছেন রিজার্ভ দলের উইঙ্গার আমন সিকে, দলে রয়েছেন স্ট্রাইকার অভিষেক কুঞ্জম ও গোলরক্ষক রনিত সরকার।
কলকাতা লিগে ৩০ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল
ইস্টবেঙ্গল এখনও অবধি ৩০ পয়েন্ট পেয়েছে। এই ৩০ পয়েন্ট নিয়েই তারা খেলতে নামবে সুপার সিক্সে। এর পর মোট পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রথম দুই দল খেলবে ফাইনালে। ইতিমধ্যে কলকাতা ফুটবল লিগের সুপার সিক্সে উঠে গিয়েছে পাঁচটি দল - ইস্টবেঙ্গল, ভবানীপুর, খিদিরপুর, মহমেডান স্পোর্টিং এবং ডায়মন্ড হারবার এফসি। একটি মাত্র জায়গা পড়ে আছে। সেটার জন্য লড়াইয়ে আছে মূলত কালীঘাট মিলন সংঘ এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। আপাতত ‘এ’ গ্রুপে পাঁচ নম্বরে আছে মোহনবাগান। তবে তিনে থাকা কালীঘাট এবং চারে থাকা আর্মি রেডের থেকে তিনটি কম ম্যাচ খেলেছে। কালীঘাটের থেকে চার পয়েন্টে পিছিয়ে আছে। আর্মি রেডের থেকে এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে। মোহনবাগানের তাতেও চাপ কম নেই। কারণ মহমেডান এবং ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।
ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দল ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়েছে। এরপর একের পর এক ম্যাচ জিতে ফাইনালেও পৌঁছে যায় লাল-হলুদ। তবে ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছে হেরে যায় তারা।