ডার্বি হারের পর প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ফলে এ মরসুমের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে তা ধরেই নিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। তাই পরের মরসুমের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, দুই ফুটবলারের সঙ্গে প্রি কন্ট্রাক্ট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, আগামী মরসুমে আরও বেশি টাকার বিনিয়োগ হবে লাল-হলুদে। আইএসএল-এ (ISL) এই মরসুমে ব্যর্থতার জন্য রেফারির সিদ্ধান্ত ও লিগের সূচিকেই দায়ি করেছেন কুয়াদ্রাত।
সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। লড়াইটা অনেক কঠিন। সেই কারণেই ঝাঁপাতে চাইছে লাল-হলুদ। ডার্বি হারের জন্য ক্লেইটন সিলভার পেনাল্টি মিসকেই দায়ি করছেন কুয়াদ্রাত। ম্যাচ শেষ হওয়ার পোর তিনি বলেন, 'এ সমস্ত ম্যাচে শুরুতে গোল পেয়ে গেলে অনেকটা অ্যাডভান্টেজ পাওয়া যায়। ক্লেইটন এর আগেও পেনাল্টি মিস করেছে। যে কোনও ফুটবলারের মাথাতেই পেনাল্টি মারার আগে এই কথা মাথায় ঘোরে। তবে ক্লেটন, সৌভিক, হিজাজিরা মাঠে যে লড়াই করেছে তাতে আমি খুশি।'
পরের মরসুমের জন্য কোন কোন বিদেশিকে রেখে দেওয়া হবে তা যদিও এখনও বলতে চাননি কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকেও কিছুই জানানো হয়নি। এ মরসুমে তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। সেখান থেকে সর্বোচ্চ ৯ পয়েন্ট পেতে পারে ইস্টবেঙ্গল। তা পেলেও লাল-হলুদকে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির দিকে। ৩ এপ্রিল ফের আইএসএলের ম্যাচ। কেরলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ লাল-হলুদের। চোটের কারণে জাতীয় দল থেকেও অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন লালচুংনুঙ্গা। ডার্বি ম্যাচের পর তাঁকে হুইলচেয়ারে বসে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়।
এর মধ্যেই বিদেশে ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছেন লাল-হলুদের বিদেশি ফুটবলাররা। পরের মরসুমে তাদের মধ্যে কারা থাকবেন তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে লাল-হলুদ সমর্থকদের আশা পরের মরসুমে দল আবার ফেরত আসবে।