ইমামি ইস্টবেঙ্গলে (Emami East Bengal) সই করতে পারেন সাহিল টাভোরা। হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও, এই ফুটবলারকে ট্রান্সফার ফি দিয়ে সই করাতে পারে লাল-হলুদ ক্লাব।
ডিফেন্সিভ মিডফল্ডার হায়দরাবাদ দলের হয়ে একটা আইএসএল জিতেছেন। ২৭ বছর বয়সী গোয়ান ফুটবলার এবারের ডুরান্ড কাপেও দুটি ম্যাচ খেলেছেন। পর্তুগালের ক্লাবে খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। এরপর ২০১৯ সালে সই করেন হায়দরাবাদে। গোয়ার সেসা অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা সাহিল খেলেছেন ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের হয়েও। এরপর আইএসএল-এ নিজের ঘরের দল এফসি গোয়ার হয়েও খেলেছেন সাহিল। ২০১৭ সালে সই করেন মুম্বই সিটি এফসি-তে। ২০১৮ সালে সেখান থেকে পর্তুগালে খেলতে চলে যান এই ফুটবলার। ফিরে এসে সই করেন হায়দরবাদে। নিজামের শহর ছেড়ে এবার কি তিনি ফুটবলের মক্কায় আসবেন?
আসলে তাঁকে সই করাতে হলে অনেক টাকা খরচ করতে হবে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে। ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা সাহিল পান হায়দরাবাদের থেকে। আরও এক বছরের চুক্তি রয়ছে তাঁর। ফলে অনেক টাকা দিতে হবে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে। যদিও একটা উপায় রয়েছে। লোনে সাহিল টাভোরাকে সই করাতে পারে লাল-হলুদ। আসলে হরমনজ্যোত সিং খাবরা দলের অধিনায়ক হলেও, গোটা মরশুম তিনি একই ভাবে খেলতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েই এখন বড় প্রশ্ন। সেই জন্যই আরও এক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সই করাতে চাইছে লাল-হলুদ।
ডুরান্ড কাপে ইতিমধ্যেই শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে লাল-হলুদ। কলকাতা লিগেও সুপার সিক্সের দৌড়ে রয়েছে ক্লাব। এর মধ্যে বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে, গত শনিবারের ডুরান্ড কাপ ডার্বিতে জয়। ফলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। গত কয়েক বছরের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে লাল-হলুদের খেলায়। যদিও এখনও কোনও ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি তারা।
ডুরান্ড কাপে কুয়াদ্রাতের সামনে বড় সুযোগ আছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানর।