ইউরো (Euro 2024) সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে (France) ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করল স্পেন (Spain)। ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষেই ২-১ এগিয়ে যায় স্পেন। চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি বিশ্বকাপ রানার্সরা। তবে এই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্সই। তবে ম্যাচে ফিরে এসে ৯০ মিনিটের লড়াইয়েই জয় তুলে নেয় স্পেন। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে ষোড়শী লামিনে ইয়ামালের (Lamine Yamal) গোল। এই গোলের ফলে রেকর্ড তো হয়েছেই, মুগ্ধ হয়েছেন গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা।
এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স
ম্যাচের নয় মিনিটে দুরন্ত গোল করলেন কোলো মুয়ানি। ২১ মিনিটে সমতায় ফেরে স্পেন। গোল করেন ইয়ামাল। এরপরে গোল করেন ওলমো। এর ফলে ২-১ এগিয়ে যায় স্পেন। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতে ফাইনালে জায়গা পাকা করে স্পেন। ম্যাচের শুরু থেকেই ডানদিক থেকে বারবার ভয়ঙ্কর ক্রস করে যাচ্ছিলেন ইয়ামাল। তবে ৯ মিনিটে প্রথম আঘাত হানে ফ্রান্স। দুরন্ত গোল করলেন কোলো মুয়ানি (Kolo Muani)। ডেম্বেলে ডানদিকে এমবাপেকে খুঁজে পান। একটি টাচ নিয়ে দারুণ পাস বক্সে রাখেন। কোলো মুয়ানি অসাধারাণ হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন।
সমতা ফেরান ইয়ামাল
এরপর যদিও তা শোধ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্পেন। ইউরোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা লামিনে ইয়ামালের সৌজন্যে। মাঝ বরাবর বল পেয়ে বাঁ দিকে কাট করে। শট করে ইয়ামাল। গোল পোস্টের উপরের বাম কোণ দিয়ে বল ঢুকে যায় গোলে। ১০২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে মারা সেই শট ফরাসি গোলকিপার ম্যাগনানের কাছে কোনও সুযোগ ছিল না। এরপর জয়সূচক গোল করেন ড্যানি ওলমো। প্রথম গোল খাওয়ার চার মিনিটের মধ্যেই জয়সূচক গোল পেয়ে যায় স্পেন। জেসুস নাভাসের কাছ থেকে বল পান ড্যানি অলমো। বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে গোল লক্ষ্য করে শট মারেন। বল বাঁচানোর চেষ্টা করেন ফ্রান্সের জুলস কুন্ডে। কিন্তু বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। প্রথমে কুন্ডের আত্মঘাতী গোল দিলেও পরে অলমোর নামেই সেই গোল দেওয়া হয়। ০-১ পিছিয়ে থেকে চার মিনিটের ঝড়ে ২-১ এগিয়ে যায় স্পেন।
ফেস মাস্ক খুলে খেলতে নামা কিলিয়ান এমবাপে দারুণ ছন্দে থাকলেও দলকে সমতা এনে দিতে পারেননি। আর তার জেরেই শেষ চারের লড়াই থেকে বিদায় নিতে হল ফ্রান্সকে।