নায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ (Bruno Fernandes)। দু দুটো গোল করে দলকে পরের রাউন্ডে নিয়ে গেলেন তারকা মিডফিল্ডার। হ্যাটট্রিকও করে ফেলতে পারতেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) তারকা। তবে ভাগ্য সঙ্গে না থাকায়, তা আর হল না।
বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন
তিন পয়েন্ট পেলেই পরের রাউন্ডে চলে যাবে পর্তুগাল (Portugal)। এমন অবস্থায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের (Cristiano Ronaldo) বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল উরুগুয়ে (uruguay)। পর্তুগিজ দলে নিয়ে আসা হয় অভিজ্ঞ পেপেকে (Pepe)। অন্যদিকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েন সুয়ারেজ। ১৮ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পর্তুগাল। ফ্রিকিক থেকে গোল করতে পারেননি রোনাল্ডো। গোল করার সুযোগ এসে গিয়েছিল উরুগুয়ের সামনেও। পর্তুগালের নড়বড়ে ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে দারুণ রান করেন বেনটেঙ্কো। তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিলেও গোল পাননি তিনি। তাঁর শট সেভ করেন গোলরক্ষক ডিয়োগো কস্তা। এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামলে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ভাবে ফিরে আসে পর্তুগাল। ৫৪ মিনিটে ডানদিক থেকে সেন্টার করেন ব্রুনো। বল মাথায় ছোঁয়ার চেষ্টা করলেও মাথায় বল লাগেনি। গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত চেষ্টা করলেও রোনাল্ডো লাফ দেওয়ায় বলটা দেখতেও পারেননি। ফলে বল গোলে চলে যায়। ম্যাচের শেষদিকে জোসে গিমেনেজ পেনাল্টি দিয়ে বসেন। ব্রুনো ফার্নান্দেজ তাঁকে নাটমেক করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পরে যান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। সেই সময় হাতে বল লাগে তাঁর। প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও রেফারি ভার দেখে স্পট কিকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করতে ভুল করেননি ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
এরপর খেলায় আরও চাপ বাড়াতে থাকে পর্তুগাল। ফলে ম্যাচেয়ার ফিরে আসতে পারেনি উরুগুয়ে। কাভানির জায়গায় সুয়ারেজকে নামিয়েও কাজের কাজ হয়নি। ফ্রান্স, ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিল পর্তুগাল।