Advertisement

FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপের মাঠে টিম ফটো সেশনে মুখ ঢাকলেন জার্মান ফুটবলাররা, কেন?

বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) ওয়ান আর্মব্যান্ড (One Armband) পরতে দেয়নি ফিফা। আয়োজক দেশ কাতারের আইনের কথা মাথায় রেখে সমকামী প্রেমের সমর্থনে ওয়ান ব্যান্ড পরে থাকেন বেশ কয়েকটি দলের অধিনায়করা।

মুখ ঢাকলেন জার্মান ফুটবলাররা মুখ ঢাকলেন জার্মান ফুটবলাররা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 Nov 2022,
  • अपडेटेड 7:33 PM IST
  • প্রতিবাদে মুখ ঢাকলেন জার্মান ফুটবলাররা
  • জাপানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামল তারা

বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড (One Love Armband) পরতে দেয়নি ফিফা। আয়োজক দেশ কাতারের আইনের কথা মাথায় রেখে সমকামী প্রেমের সমর্থনে ওয়ান ব্যান্ড পরে থাকেন বেশ কয়েকটি দলের অধিনায়করা। কাতারে সমকামী প্রেম নিষিদ্ধ। আর সেই জন্যই এমন রামধনু আর্মব্যান্ড পরতে পারছেন না হ্যারি কেন বা ম্যানুয়েল নয়াররা। সেই জন্য এবার অভিনব প্রতিবাদ জানালেন জার্মান ফুটবলাররা। 

কীভাবে প্রতিবাদ করলেন নয়াররা?
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে জার্মানি। সেই ম্যাচের আগে টিম ফটোগ্রাফের সময় জার্মানির সকলেই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ছবি তোলেন। সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এর আগে হ্যারি কেনও এই ওয়ানলাভ আর্মব্যান্ড পরে খেলতে চেয়েছিলেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ককে গ্রেপ্তার করার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর যদিও ফিফার দেওয়া আর্মব্যান্ড পরেই মাঠে নামেন কেন।

আরও পড়ুন

বিবৃতি দিল জার্মান ফুটবল ফেডারেশন
মানবাধিকারের প্রশ্নে কোনও আপোশ করবে না জার্মান দল। সকলের প্রতি সম্মান জানিয়েই তাই এমন প্রতিবাদ রুডিগার, নয়ারদের। ট্যুইট করে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন লিখেছে, 'আমরা জার্মানির জাতীয় দলে যে মূল্যবোধ নিয়ে খেলি, সেই অবস্থান নিতে আমাদের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। বৈচিত্র্য এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা। জানাতেই আমরা এমনটা করতে চেয়েছিলাম। এটা কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি নয় - মানবাধিকার নিয়ে কোনও কথা হতে পারে না। এই কারণেই এই বার্তাটি আমাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ।আমাদের আর্মব্যান্ড পরতে না দেওয়া আমাদের কণ্ঠস্বর অস্বীকার করার সমান। আমরা আমাদের অবস্থানে এখনও অটল।'

 

সব মিলিয়ে বলা যায়, ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ আবারও সরগরম হতে চলছে। আরও নানা ধরনের প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ইরান দল (Iran Football Team) ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করে। কোনও ফুটবলারই দেশের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জাতীয় সঙ্গীত গাননি। তবে কেন এমন প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিলেন ইরানিয়ান ফুটবলাররা? মূলত এটাকে হিজাব বিরোধী আন্দোলন বলা হচ্ছে। মাহসা আমিনীর মৃত্যুর পর ইরানে এই বিক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নেয়। মাহসা আমিনি ছিলেন উত্তর-পশ্চিম ইরানের সাকেজ শহরে বসবাস করা একজন কুর্দি মহিলা। তেহরানের একটি হাসপাতালে তিন দিন কোমায় থাকার পর ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। ইরানের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারপরেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের অভিযোগ ছিল, মাহসা আমিনী হিজাব না পরে ড্রেস কোড আইন লঙ্ঘন করেছেন।        

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement