দ্রুত চুক্তি সই করুক ইস্টবেঙ্গল। চাইছেন প্রাক্তন কোয়েস ইস্টবেঙ্গল কর্তা সঞ্জিত সেন। কবে চুক্তি সই হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা ক্রমে বাড়ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। সঞ্জিত নিজেও একজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। কোয়েসে সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তির সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। চুক্তি জটে জেরবার ইস্টবেঙ্গলে এত সমস্যার কারণ কী? আজতক বাংলাকে নিজের মতামত জানালেন সঞ্জিত সেন।
প্রশ্ন: ইস্টবেঙ্গল এখনও চুক্তি সই করেনি। বারবার একই সমস্যা হচ্ছে, কেন?
সঞ্জিত সেন: চুক্তি করতে সময় লাগে। মাঝে একজন কেউ থাকলে ভাল হয়। যে দুই পক্ষের কথাই শুনবে, বুঝতে পারবে। এখন যেটা হচ্ছে, বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষের কথাবার্তা সরাসরি হচ্ছে। তাতে সময় লাগছে। যেমন- কোয়েস প্রথমে ৭৬ শতাংশ শেয়ার চেয়েছিল। কিন্তু আমি ইস্টবেঙ্গলের কথা ভেবে ৭০ শতাংশের কথা বলি। আমি যদি এই ব্যাপারে ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে জানাতে যেতাম তবে একই হত। মাঝখান থেকে সময়টা চলে যেত। সেটাই হচ্ছে এই ক্ষেত্রেও।
প্রশ্ন: চুক্তি তো সই হবেই ফুটবলার সই করাতে সমস্যা কোথায়?
সঞ্জিত সেন: ফুটবলার সইয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। যাদের প্রি কন্ট্রাক্ট রয়েছে তাদের অন্তত সই করিয়ে নিলে দলটা কিছুটা তৈরি থাকে। সময় নেই। ভাল ফুটবলার বিশেষ করে ভারতীয় ফুটবলার পেতে সমস্যা হতেই পারে। শুনছি দুই এক দিনের মধ্যে চুক্তি সই হয়ে যাবে। সেটা হয়ে গেলে খুব ভাল।
আরও পড়ুন: প্র্যাক্টিস চলাকালীন রুশ রকেট হামলা, নিহত ইউক্রেনের জনপ্রিয় প্লেয়ার
আরও পড়ুন: চুক্তিজটে 'থমকে' ইস্টবেঙ্গল, কোন পথে সমাধান, কী চাইছেন সমর্থকরা?
প্রশ্ন: আপনাদের সময়ও দেখা গিয়েছিল কোচ আসার পর দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছিল। আপনার কি মনে হয়, আগে কোচের সঙ্গে চুক্তি করে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করা উচিত?
সঞ্জিত সেন: একেবারেই তাই। গোটা পৃথিবীতেই এটা হয়। এটিকে মোহনবাগানকেই দেখুন। হাবাসের পর কোচ হয়েছেন ফেরান্দো। অনেক ফুটবলারকেই তারা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ নতুন কোচের স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে তাঁদের খেলার ধরন মিলছে না। এটা যে কোনও দলেই হয়ে থাকে। তাই কোচ কে হবেন তা ঠিক করে তাঁর সঙ্গে কথা বলে তবেই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করা উচিত। ইস্টবেঙ্গলের এখনকার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। কারণ, সময় নেই। কিছু ফুটবলারকে দ্রুত সই করাতেই হবে।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগ নিয়ে আপত্তি ইস্টবেঙ্গল-মহমেডানের
প্রশ্ন: কর্তাদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ?
সঞ্জিত সেন: আসলে দীর্ঘদিন ধরে নিজেরাই দল গঠন করছিলেন, ফুটবল বা অন্য খেলার ক্ষেত্রে সবটাই দেখছিলেন কর্তারা। তবে সেখান থেকে এই অবস্থাটা মানিয়ে নেওয়া কঠিন। যেখানে তাঁদের হাতে ফুটবলের কিছুই নেই। তবে এখনকার সময়টা এই রকম তাই এটা মানতে হবে। সমস্ত ইনভেস্টর বা স্পন্সর ইউবি গ্রুপের মত হবে এমনটা নয়। সেটাও বুঝতে হবে। ইনভেস্ট করলে যেমন স্পোর্টিং রাইটস পাওয়া যায় তেমন দায়ভারটা এসে পড়ে। তাই মাথায় রাখতে হবে যারা রাজি হয়েছেন ইনভেস্ট করতে তারা কিন্তু দুটো বিষয় জেনে রাজি হয়েছেন। আর ফুটবল বিশেষ করে ভারতীয় ফুটবল থেকে লাভ হওয়ার জায়গা খুব বেশি নেই।