ভারতীয় দলের (Team India) কোচ হওয়ার পর থেকে সময়টা ভাল যাচ্ছে না গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir)। একে নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার, তারপর এবার মাঠের বাইরেও সমস্যায় রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) হেডস্যার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিল দিল্লির এক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট কেনাবেচা সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
কী অভিযোগ গম্ভীরের বিরুদ্ধে?
২০১১ সালে গাজিয়াবাদের ইন্দ্রপুরমে ফ্ল্যাট বিক্রির কথা বলে কয়েক কোটি টাকা তোলে এক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। তবে সেই ফ্ল্যাটের চাবি এখনও হাতে পাননি ক্রেতারা। এমনটাই অভিযোগ। এই আবাসন প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ও ডিরেক্টর ছিলেন গৌতম গম্ভীর। বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং এইচ ইনফ্রাসিটি প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। তদন্তকারীদের আরও অভিযোগ, ওই প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌতম গম্ভীরের প্রচারে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন ক্রেতারা। ওই প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা সংস্থাগুলি তাঁর ইমেজকেই ব্যবহার করে মানুষকে লোভ দেখিয়েছিলেন। যে কাজের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন গম্ভীরও। তাই প্রতারণার দায় তিনিও অস্বীকার করতে পারেন না। তাছাড়া রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেডে গম্ভীরের প্রায় ৬ কোটি টাকা নিজস্ব বিনিয়োগ ছিল বলেও অভিযোগ। এ ছাড়া রিটার্ন হিসাবে পাওয়া ৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকাও নাকি তিনি পেয়েছেন।
কী কারণে ফের তদন্তের নির্দেশ?
২০১১ সালেই এই সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন গম্ভীর। তারপরেও কেন তিনি এই সংস্থা থেকে টাকা পেলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক বিশাল গগনে। এর মধ্যেই নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই সংস্থার সঙ্গে কী কী আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তার রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। গম্ভীর কী ভাবে বিজ্ঞাপনের মুখ হলেন, তারও গ্রহণযোগ্য যুক্তি দিতে বলেছেন বিচারক। সব মিলিয়ে বিরাট চাপে গম্ভীর।